চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের শেষ দিনে বিভিন্ন সংগঠন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, ব্রিফিং প্রদান ও বহদ্দার হাট এলাকার আশপাশের এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, দক্ষিন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি সফর আলী গণসংযোগকালে রেজাউল করিম চৌধুরী সাথে ছিলেন। এ সময় তারা এলাকাবাসীকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় প্রার্থনা করেন।
শাহাদাতের নির্বাচনী এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমরা কাদের এজেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছি তা যেমন কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ করিনি, তেমনি বিএনপি কাদের এজেন্ট হিসেবে রাখছেন তা কেউ জানে না।” তাহলে কীভাবে তারা ছাড়া এজেন্টদের কেউ কীভাবে হয়রানি কিংবা আদর করবে বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি এও বলেন, “যদি কারো বিরুদ্ধে মামলা থাকে এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে প্রশাসন খোঁজে বা গ্রেফতারের পদক্ষেপ নেয় সেটা এলাকার শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করতেই পারে। এখানে আপনার-আমার কোনো হাতও নেই, আপত্তিও নেই।” বিএনপি মূলত জনসমর্থন হারিয়ে, জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে অজুহাত ও অভিযোগ পার্টিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, “বিএনপি আসলেই কোনো এজেন্ট দিচ্ছে কি না কিংবা আদৌ নির্বাচন করতে চায় কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়।”