পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ৬ বছর অকেজো হয়ে পড়েছিল অ্যানেস্থেসিয়া মেশিনটি। অবশেষে সচল করার পর এক মহিলার সফল অপারেশন করা হলো।
জানা গেছে, হাসপাতালে এতদিন ধরে সিজারিয়ানসহ অন্য অপারেশন করা গেলেও নাক, কান, গলার অ্যানেস্থেসিয়া মেশিনটি ৬ বছর ধরে অকেজো ছিল। এ সময়ে মেশিনটির অভাবে নাক, কান, গলার অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। মেশিনটি বর্তমানে সচল করায় পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নতুন মাত্রা পেয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার কলি আকতার নামের এক মহিলার গলায় প্রায় ১ ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপাচার শেষে টনসিল অপারেশন সফল হয়। ৬ মাস ধরে গলা ব্যথার যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, এই অপারেশনটি প্রাইভেট হাসপাতালে করতে গেলে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতো। মফস্বল হাসপাতালে এই অপারেশন চট্টগ্রামের মধ্যে একটি উদাহরণ। অপারেশন করেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক কান গলা) ডা. মানব কুমার চৌধুরী ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডা. সৌমেন বড়ুয়া। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয়ভাবে মেশিনটি মেরামত করে সচল করা হয়।
ডা. সৌমেন বড়ুয়া বলেন, বরাদ্দকৃত ওটি লাইট স্থাপন, নতুন অ্যানেস্থেসিয়া মেশিন ও ডায়াথার্মি মেশিন বরাদ্দ হলে শল্য স্বাস্থ্যসেবা আরো বৃদ্ধি পাবে।
হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঢেলে সাজানো হবে। এখানে আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সংযোজন করে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।