বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র–জনতা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে জালিমের জুলুম থেকে মুক্ত করেছেন। এই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদেরকে মহান আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুক। যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে সুস্থতার নেয়ামত দান করুন। তাদের সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করুন। তাদের এই ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে জাস্টিস প্রতিষ্ঠিত হোক। সমাজ–রাষ্ট্র পরিচালিত হোক ইনসাফের ভিত্তিতে। গতকাল বুধবার দুপুরে লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়নের দর্জিপাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ ইশমামুল হকের কবর জিয়ারত করতে এসে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ স্থানীয় দায়িত্বশীল ১১ নেতাকে বিচারের নামে প্রহসন করে খুন করা হয়েছে। তার পাশাপাশি বহু নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। দেশের মানুষের বুকের উপর পাথর চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। গত ১৬ বছর এই দেশের মানুষকে অধিকার হারা হয়ে নিজ দেশে পরবাসের মতো জীবন–যাপন করতে হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর শহীদ ইশমামের ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ ইশমামকে শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন এটা নি:সন্দেহে সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা কেউ এই পৃথিবীতে চিরদিন থাকার জন্য আসেনি। আমাদের সবাইকে একদিন আখিরাতে চলে যেতে হবে। কেউ আগে, কেউ পরে। সুতরাং হতাশ হবেন না। আপনার সন্তান শহীদ হওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ আপনার পুরো পরিবারকে সম্মানিত করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জোনের টিম মেম্বার অধ্যাপক জাফর সাদেক, দক্ষিণ জেলা আমীর অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, বান্দরবান জেলা আমির এস এম আব্দুস সালাম আজাদ, লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম নোমান, আমিরাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী, বড়হাতিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জুনায়েদ, চুনতী মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।
