ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আলী হাসান। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন– পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল শাখার সাবেক সহসভাপতি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ইসলাম, কর্মী মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী। এই সিদ্ধান্ত আগামী ২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন ইবি রেজিস্ট্রার। খবর বিডিনিউজের।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন নির্যাতন করে নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরীকে তাকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং নির্যাতনের ঘটনা ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যান ওই ছাত্রী। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এ ঘটনায় আইন বিভাগের অধ্যাপক রেবা মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে ১৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য। এছাড়া হল প্রশাসন, শাখা ছাত্রলীগও একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ঘটনা তুলে ধরে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসিন। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট গ্রহণ করে এ বিষয়ে ওই আইনজীবীর কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান।