দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শাখা ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপগুলোর চিকা মারা নিয়ে নীরব ছিল প্রশাসন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকা মারা হয়েছে এ এফ রহমান হলে। বগিভিত্তিক বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতৃত্বে থাকা এ হলের পুরো দেয়ালজুড়ে চিকা মারা হয়েছে। অনেকে এটাকে বিজয় হল নামেই চিনতো। এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এবার গত শুক্রবার রাতে চিকা মারা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। গতকাল রবিবার ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর চিকাসহ সকল ধরনের দেয়াল লিখন মুছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হল থেকে চিকা অপসারণ শুরু হয়।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলাম আজাদীকে বলেন, গত শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনায়। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দিবে না প্রশাসন। তিনি বলেন, বগিভিত্তিক রাজনীতি ও বগির নামে চিকা মারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে নিষিদ্ধ। তবুও কর্মীরা তাদের অবস্থান জানান দিতে হলগুলোতে চিকা মারে।
অনেক সময় চিকা মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। চিকা মারার কারণে হলের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এসব কিছু বিবেচনা করে হল থেকে চিকা মুছে দিচ্ছে প্রশাসন। তিনি আরও বলেন, আজকে রবিবার এ এফ রহমান হলে চিকা অপসারণ করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে হল, অনুষদ ও ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে বিভিন্ন দেয়াল থেকে চিকা অপসারণ করা হবে। ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। চিকা অপসারণের সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর মো. আহসানুল কবীর, গোলাম কুদ্দুস লাবলু, হাসান মুহাম্মাদ রোমান ও মো. শাহরিয়ার বুলবুল তন্ময়।