ছাত্রদল আহ্বায়ক সচিব ও গাজী সিরাজসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নাসিমন ভবনে ককটেল

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

দলীয় কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সদ্য ঘোষিত নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিন ও বিদায়ী কমিটির সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। এসআই আরাফাত হোসেন বাদী হয়ে গতকাল মামলাটি দায়ের করেন। এতে ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাতে নগর ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। পরদিন রবিবার নূর আহম্মদ সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ আনন্দ মিছিল করে। এ সময় ব্যানারের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে শরীফুল ইসলাম তুহিন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রদলের এক নেতার সাথে। এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে পুুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে বিকেলে পদবঞ্চিতরা নবগঠিত কমিটি প্রত্যাখান করে কাজীর দেউরি থেকে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল করে এবং দলীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, রবিবার বিকেলে মিছিল করার সময় হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় তারা। এসময় পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও নিষেধ অমান্য করে নাসিমন ভবনের প্রবেশ মুখে অবস্থান করে। এতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো দুইটি অবিস্ফোরিত ককটেল, তিনটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, ২০ টি বিভিন্ন সাইজের ভাঙা ইটের টুকরা জব্দ করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শফিউল আলম, যুগ্ম আহবায়ক- মো. আরিফুর রহমান প্রকাশ মাস্টার আরিফ, শহিদুল ইসলাম সুমন, জিএম সালাহ উদ্দিন কাদের আসাদ, মো. ইসমাইল হোসেন, এইচএমএম আসিফ চৌধুরী লিমন, মো. মাহামুদুর রহমান বাবু, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন সাহেদ, মো. সামিয়াত আমিন চৌধুরী জিসান, মো. আরিফুর রহমান মিঠু, নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফুল হক সোহেল, এমএ হাসান বাপ্পা, মো. রাজিবুল হক বাপ্পী, মোহাম্মদ আনাছ, মো. জাহেদ হোসেন খাঁন জসি। নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গাজী মো. সিরাজ উল্লাহকে ১২ নম্বর আসামি করা হয়। এছাড়া সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাইয়ুমুর রশিদ বাবু, গিয়াস উদ্দিন আবিদ, মহসীন কবির আপেল, মো. ইয়াছিন আরাফাত, মো. নূর নবী, আব্বাস উদ্দিন, আলিফ উদ্দিন রুবেল, সাবেক সহ-সভাপতি এস এম রিমন খান, ছাত্রদল নেতা ফিরোজ খাঁ, জমির উদ্দিন পারভেজ, রানাকেও আসামি করা হয়। এর মধ্যে শফিউল আলমকে ঘটনার পর পর গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাকে চট্টগ্রাম চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় পিডিবির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আগুন অন্ধকারে ৮ হাজার গ্রাহক
পরবর্তী নিবন্ধঅপহরণের ৪৩ ঘণ্টা পর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার