অপহরণের ৪৩ ঘণ্টা পর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

অপহরণের ৪৩ ঘণ্টা পর নূর মোহাম্মদ (৪২) নামে চন্দনাইশের এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি দোহাজারী পৌরসভা সদর এলাকার মৃত সফর আলীর পুত্র। গত রোববার রাত ৯টার দিকে সাতকানিয়ার শিশুতল বাজার এলাকায় নূর মোহাম্মদকে ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে চকরিয়া থেকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে ফিরছিলেন নূর মোহাম্মদ। পথে লোহাগাড়া উপজেলার পুরান থানা এলাকায় নামলে কয়েকজন লোক তাকে ‘চোর’ বলে মারধর করে। এ সময় নূর মোহাম্মদের টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে চোখ বেঁধে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় নূর মোহাম্মদের ছোট ভাই মো. রাসেলকে ফোন করে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। দোহাজারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল হালিম বলেন, অপহরণের ঘটনায় শনিবার সকালে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। একপর্যায়ে অপহরণকারীদের মধ্যে একজনের তথ্য পেয়ে লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করি। এরপর তিনি মহাজনপাড়ার ইদ্রিস ড্রাইভারের ছেলে অপহরণকারী বাবলুকে ডেকে আনেন। তবে পুলিশ সেখানে পৌঁছাবার পর বাবলুকে দেখতে পায়নি। বাবলুর দুই ভাই শামসুল আলম (৫০) ও আবুল মনসুর (৩০) সেখানে ছিল। পরে বাবলুর বাড়িতে গিয়ে টর্চার সেলের সন্ধান পায় পুলিশ। সেখান থেকে লাঠি, ইলেকট্রিক শক ও হাতের আঙুল কাটার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরী জানান, পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি বাবলুকে ডেকে আনেন এবং ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় বাবলু জানায়, রাতে চোর ধরার পর মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বাড়ি থেকে সেসব জিনিস আনার কথা বলে পালিয়ে যায় বাবলু।
অপহৃত নুর মোহাম্মদ জানান, চোখ বেঁধে রাখায় কাউকে চিনতে পারেননি তিনি। তবে তাকে ছেড়ে দেয়ার আগে অপহরণকারীদের মুখে ‘বাবলু’ নামে একজনের নাম শুনেছেন বলে জানান তিনি। চন্দনাইশ থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্রদল আহ্বায়ক সচিব ও গাজী সিরাজসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম থেকে আইপি ইস্যুসহ সব ধরনের সেবা বাড়ানোর অনুরোধ