বাঁশখালীর কালীপুরে ১০ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে কালীপুর ইউনিয়নের পালেগ্রাম শাহ হাকিম মিঞা সিনিয়র মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের এই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা গ্রামের ফরিদ আহমদের পুত্র।
যৌন নিপিড়নের অভিযোগে গতকাল রাতে ভিকটিম শিশুটির মা বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা করেন বলে জানিয়েছেন বাঁশখালী থানার এসআই রাজীব কুমার পোদ্দার।
সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি মাসে ভিকটিম শিশুটিকে ওই মাদ্রাসায় হাফেজ পড়ানোর জন্য ভর্তি করানো হয়। শিশুটি মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করছিল। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম প্রায় সময় শিশুটিকে রাতে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপিড়ন চালাত। বিষয়টি কাউকে না জানাতে শিশুটিকে ভয়ভীতিও দেখান ওই শিক্ষক।
ভিকটিমের বাবা বলেন, গত দুইমাস ধরে সেখানেই থাকতো ছেলে। এর মধ্যে ছেলে বাড়িতে এসে আর মাদ্রাসায় যাবে না বলে জানায়। পরে ছেলে তার মাকে পুরো বিষয় খুলে বলে। মাদ্রাসার পাষণ্ড শিক্ষক আমার ছেলেকে দুইমাস ধরে ঘুমাতে দেয়নি। সে প্রতিনিয়ত আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে। আমাদের অভিযোগের পর ওই শিক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।