চোরাই গরু কিনতে গিয়ে ধরা পড়ল আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের তিনজন

মিলেছে হাবিলাসদ্বীপের ১৯ গরু ডাকাতির তথ্যও

পটিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চোরাই গরু ক্রয় করতে গিয়ে ধরা পড়ল আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য। গত ১২ নভেম্বর পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন ছালেহ নুর ডিগ্রি কলেজের সম্মুখে হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর খামার থেকে ১৯টি গরু লুটের ঘটনা ঘটে। এরপর একজন গরু ক্রেতা লুট হওয়া গরু ক্রয় করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েন কবির মৃধা। পুলিশ জানান, ১৯ গরু ডাকাতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও মিলেছে আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে। তবে এটি যেহেতু একটি বিশাল সার্কেল। সে সার্কেলের পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে আদালতে সবকিছু বলা সম্ভব নয়। এ চক্রটির সকল সদস্যকে ধরা সম্ভব হবে বলে আশা করেন থানা প্রশাসন।

গতকাল বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গরু ক্রেতা কবির মৃধা, বেনু পাটোয়ারী ও কসাই আবুল কাসেম। গরু লুটের এ ঘটনা তদন্তে নামলে ধরা পরে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের ৩ সদস্য। স্বীকারোক্তি মতে, তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসে গরু ডাকাতির চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। তাদের দেওয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তার হয়েছে চাঁদপুর জেলার মতলব ঠাকুরপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক মৃধার পুত্র মো. কবির মৃধা (৪৫) ও একই জেলার মতলব উত্তর পাড়ার মৃত নুর বঙ পাটোয়ারীর পুত্র মোহাম্মদ বেনু পাটোয়ারী (৬৫), কসাই আবুল কাশেম (৫০)

জবানবন্দিতে জানান, বেনু পাটোয়ারী গরু বিক্রেতা দালাল। সে কবির মৃধাকে জানায় চাঁদপুরের মইনুদ্দিন খাজার নিকট ১০টি গরু রয়েছে। গরুগুলো ৫ হাজার টাকা দালালির মাধ্যমে গরু ব্যবসায়ী কবির মৃধাকে প্রতিটি গরু ১ লাখ টাকা মূল্যে কিনে দেয়। এর মধ্যে ৩টি গরু কসাই কাসেম জবাই করে বিক্রি করে দেয়। কবির মৃধা থেকে কসাই কাসেম গরু জবাই করার জন্য প্রতিটি গরু বাবদ ৩ হাজার টাকা করে নেয়। পুলিশ মোহাম্মদ বেনু পাটোয়ারিকে আটকের পর তার সূত্র ধরেই গত মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও এলাকার মো. কবির মৃধাকে আটক করে। এরপর উদ্ধার করা হয়েছে পতেঙ্গায় লুট হওয়া ৭টি গাভী ও ৫টি বাছুর।

খামারি ও ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় গরু লুটসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তারা চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা এবং কঙবাজার পর্যন্ত দুর্ধর্ষ চুরি ও ডাকাতি করে আসছিল। অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ এ চক্রের বিশাল একটি সিন্ডিকেট রয়েছে চাঁদপুর জেলায়। তারা গরু লুট ও ডাকাতি করে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া চলে যায়।

পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মু. নাজমুন নুর জানান, পটিয়া থানায় দায়েরকৃত একটি গরু চুরির মামলার সুত্রধরে ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হলে, তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পটিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম তাররাহুম আহমেদ তার স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতীয় ঐক্য গড়ুন, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন
পরবর্তী নিবন্ধআবুল খায়ের স্টিলের ছিনতাই হওয়া লোহা বায়েজিদ স্টিল থেকে উদ্ধার