আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি সাধারণত বসন্তের শুরুতে চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগের উপদ্রব হয়। এই চোখ ওঠা কনজাংটিভাইটিস নামের সমস্যার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে হঠাৎ করে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি প্রায় প্রতিটি ঘরে একাধিক ব্যক্তি এই রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছে এবং দেখতে দেখতে রোগটি এক প্রকার মহামারী আকার ধারণ করেছে। তবে এই রোগটি তেমন ভয়ানক নাহলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের মতে চোখ ওঠা অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ায় অতি অল্প সময়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোগটি সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই দ্রুত আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে আতংকিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই ৮-১০ দিনের মধ্যে এই রোগ সেরে যায়। তবে শিশুদের চোখ ওঠলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। সাধারণত এই রোগের লক্ষণ হলো চোখের মণির চারপাশে হালকা লাল হয়ে যাওয়া, চোখ খচখচ করা, ব্যথা অনুভূত হওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া, বেশি আলো বা রোদে গেলে চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোণায় ময়লা জমা, জ্বালাপোড়া ও চোখে ঘোলাটে দেখাসহ মারাত্মক প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এ রোগ নিয়ে গ্রাম-গঞ্জে একটি কুসংস্কার প্রচলিত আছে চোখ ওঠা রোগীর চোখের দিকে থাকালেই চোখ ওঠে বা অন্যরাও আক্রান্ত হয়। আসলে এ তথ্য সঠিক নয়। তবে চোখ ওঠা অতি মাত্রায় ছোঁয়াচে ও সংক্রমক। তাই অসুস্থ ব্যক্তিকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকাসহ কিছুদিন ঘরের বাইরে না যাওয়াই শ্রেয়। যদি বাইরে যেতেই হয় যতটা সম্ভব অতিরিক্ত ধুলাবালি সংস্পর্শে না যাওয়া এবং অবশ্যই চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা, রোদ, দূষিতবায়ু, জনবহুল স্থান ও যানবাহনের ধোঁয়া এড়িয়ে চলা বাঞ্ছণীয়। তবে মনে রাখা উচিত আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, রুমাল, টিসু, চশমা বা কাপড়-চোপড় ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবারের অন্যান্যদের মধ্যে এরোগ ছড়াতে পারে। তাই চোখ ওঠা দেখা দিলে সকলের উচিত হবে সচেতনতার সাথে তা মোকাবিলা করা।












