চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা আগুনের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সঠিক ব্যবহার শিখতে পারে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, আগুন লাগলে কীভাবে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হবে, ভবনে আগুন লাগলে সেখান থেকে কীভাবে বের হয়ে আসা বা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হয়–এসব দিক জানতে পারা যায়। আগুন লাগার সম্ভাব্য কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে দূর করাই অগ্নিনিরাপত্তা বিধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
চুয়েট উপাচার্য আরও বলেন, চুয়েট রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি রক্ষা করা প্রত্যেকেরই পবিত্র দায়িত্ব। যেহেতু চুয়েট ও এর প্রতিটি বিভাগ রাষ্ট্রীয় সম্পদ, তাই এটা দেশের আপামর জনগণের সম্পদ। এ সম্পদ আপনাদের কাছে আমানত। কোনোভাবেই তা নষ্ট ও অপচয় করার সুযোগ নেই। যে বা যারা এটা নষ্ট ও অপচয় করবে, এর সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত থাকবে তারা সবাই অপরাধী। গতকাল মঙ্গলবার চুয়েটের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফায়ার ড্রিল এন্ড ইকিউ ড্রিল ফর টিচার্স, অফিসার্র এন্ড স্টাফ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। রিসোর্স পার্সন ছিলেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন, বিএফএম (এস)। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন চুয়েটের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা। চুয়েট আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী। এতে সঞ্চালনা করেন সেকশন অফিসার মো. ইমরান হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া আরও বলেন, হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনভাবে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ভেতরে থাকলে দ্রুত খোলা জায়গায় সরে যেতে হবে এবং যারা আটকে পড়তে পারেন, তাদের উদ্ধার করতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। দুর্যোগের সময় শান্ত থেকে সঠিক পদক্ষেপ নিলেই ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












