চুক্তির মেয়াদ শেষেও থাকা অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ

চান্দগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সম্পত্তি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ

চুক্তির মেয়াদ শেষ। এরপর ৬ মাস ধরে অবস্থান করলেও পরিশোধ করছিল না বকেয়া ভাড়াও। এমন অবস্থায় নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকায় থাকা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তিতে অবস্থানকারী লেকটাচ কর্পোরেশনকে উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন ও ট্রাস্টের যৌথ টিম। অভিযানে অবৈধভাবে অবস্থানকারী প্রতিষ্ঠানটিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মো. আক্তার জামীল এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন এ অভিযান পরিচালনা করেন। উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহাবুবুর রহমান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬৫ জন সদস্যও। চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ৫.৬ একর জমিসহ স্থাপনাটি প্রাক্তন মালটিপল জুস কনসেনট্রেট প্ল্যান্টের জায়গা। উক্ত সম্পত্তি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে মাসিক ভাড়া হিসেবে লেকটাচ কর্পোরেশনকে তিন বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৭ জুন এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও সম্পাদন হয়।

গত বছরের ১৬ জুন ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও দখল ছাড়েনি লেকটাচ কর্পোরেশন। বরং চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে এবং ভাড়া প্রদান না করে অবৈধভাবে অবস্থান করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।

জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, ভাড়াটিয়ার কাছে বর্তমানে জামানতসহ বকেয়া রয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৯ টাকা। জেলা প্রশাসেনর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বারবার অঙ্গীকারনামা দেয়া সত্বেও বকেয়া ভাড়া পরিশোধ না হওয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা হয়। এখন ট্রাস্টের জায়গা ট্রাস্টের কাছে চলে গেছে। বকেয়া ভাড়া নিয়মিত মামলা করে আদায় করা হবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। এই ট্রাস্টের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত আয়ের অর্থ দিয়ে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পুনর্বাসন এবং তাঁদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশ-বেতের জিনিসে প্লাস্টিকের দখল
পরবর্তী নিবন্ধচুয়েটে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থীকে শোকজ