আবুল হাশিম – বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘকাল মুসলিম লীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে দলটিকে প্রগতিশীল, জনকল্যাণমুখী ও গণতান্ত্রিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সদা সচেষ্ট থেকেছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদে অবিচল আস্থাবান আবুল হাশিমের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কাশিপাড়া গ্রামের এক অভিজাত জমিদার পরিবারে ১৯০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি আবুল হাশিমের জন্ম। লেখাপড়া করেছেন আইনশাস্ত্রে। আইনজীবী হিসেবে তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি ছিল। ব্যক্তিজীবনে ছিলেন জনদরদী এবং সাম্যবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত থেকেছেন। এই জনপ্রিয়তার কারণে ১৯৩৬ সালে বঙ্গীয় বিধান সভার নির্বাচনে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে সদস্যপদ লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে যোগ দেন মুসলিম লীগে। দলটির সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে সারা দেশ পরিভ্রমণ করে এর আদর্শ প্রচারে ব্রতী হন এবং অল্প সময়ের তাঁর নেতৃত্বে তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ নিয়ে দলের মধ্যে একটি শক্তিশালী বামপন্থী গ্রুপের সৃষ্টি হয়। দেশ বিভাগের পর আবুল হাশিম ঢাকায় স্থায়ী হন। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়ায় তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা সহ প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। সুবক্তা ও ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ‘দ্য ক্রিড অব ইসলাম’, ‘অ্যাজ আই সি ইট’, ‘ইন্টিগ্রেশন অব পাকিস্তান’, ‘ইন রেট্রোসপেকশন’, ‘রব্বানী দৃষ্টিতে’ ইত্যাদি। ১৯৭৪ সালের ৪ অক্টোবর প্রয়াত হন আবুল হাশেম।