চিনি নিয়ে অস্বস্তি এখনও কাটেনি

| শনিবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

বাজারে সবজিসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল হলেও চিনির দামে শৃঙ্খলা ফেরেনি; সরবরাহ সংকটে এখনও কোথাও কোথাও প্রতিকেজি চিনি ১১৫ টাকার বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, তাদের কেনা দাম সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়েও অনেক বেশি। যে কারণে তাদেরকে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী খুচরা ও পাইকারি বাজারে চিনিও মিলছে না, যে কারণে দাম এখনও চড়া।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা দরে। প্যাকেট চিনির দামও একই। অন্যদিকে দুই কেজি ওজনের প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে; প্রতিকেজির দাম পড়ছে ৭৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা এবং পাম তেল ১১৭ টাকা হলেও কার্যত এর চেয়েও কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে এ ভোজ্য তেল। সাম্প্রতিক বাজারদরের বিবেচনায় আটা-ময়দা ও চিনির দাম এখনও চড়া, অন্য পণ্যের চেয়ে বেশি। খবর বিডিনিউজের।

বাজারে প্যাকেট আটা প্রতিকেজি ৭৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা প্রতিকেজি ৮৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে শীতের সবজি ছাড়া অন্য কোনো জিনিসের দাম কমতে দেখছি না। যেটাতে হাত দেই সেটার গায়েই আগুন লেগে আছে। ভরা মৌসুমে ৫০ থেকে ৫৫ টাকার নিচে কোনো মোটা চাল পাওয়া যাচ্ছে না।

সরকার, মন্ত্রীরা মুখে অনেক কথা বললেও কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না, বলে অনুযোগ তার। বাজার ঘুরে দেখে গেছে, চাহিদা অনুযায়ী চিনির সরবরাহ ঠিক হয়নি। ঘাটতি থাকার সময় দীর্ঘ হচ্ছে। খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারেই চিনির অভাব আছে। পাইকারি বাজার মৌলভী বাজারে সরবরাহ আদেশ (এসও) কেজিপ্রতি ১০৩ থেকে ১০৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিল গেইটের দরও ১০৩ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে শীতার্তদের পাশে যুবলীগ নেতা এলিট
পরবর্তী নিবন্ধহালিশহরে ইস্টার্ন ব্যাংকের শাখায় আগুন