চা-শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার

সৈয়দ আহমেদ বাদল | সোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

দেশে ছোট বড় প্রায় ২০০টি চা বাগানে চা উৎপাদন হয়। যার প্রধান প্রাণশক্তি হলো চা শ্রমিক। চা বাগানগুলোতে উৎপাদিত চা বাজারজাত করে দেশের জিডিপি সমৃদ্ধ হচ্ছে বছর বছর। বাজার মালিকগণ লাভবান হচ্ছেন বাণিজ্যিকভাবে। যাদের ঘাম আর খাটুনির বিনিময়ে চা শিল্প গড়ে উঠেছে, সেই চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ভাবনায় অবহেলা পরিলক্ষিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। বৃটিশ আমল থেকে বিলেতি শাসন ব্যবস্থায় নির্যাতিত চা শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশা ধারাবাহিকভাবে চলমান ছিলো। মৌলভিবাজার, সিলেট, চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকাসহ অনেক জেলাতেই চা শ্রমিকরা বসবাস করে চা বাগানে শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেও তারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলো। সম্পূর্ণ অনগ্রসর জাতি গোষ্ঠী হিসেবেই চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের বেড়ে উঠা। বঙ্গবন্ধুর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সহানুভূতি পেয়ে নাগরিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত চা শ্রমিকরা জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনেই ভোট প্রদান করতে পারে এখন।
বৃটিশ সরকারের শাসনামলে ১৮৪০ সাল নাগাদ তৎকালীন ভারতবর্ষের আসাম ও দার্জিলিং অঞ্চলে চা বাগানের গোড়াপত্তন হয়। সিলেট, মৌলভিবাজার অঞ্চল তখন আসাম প্রদেশভুক্ত ছিলো এবং এ অঞ্চলেও চা বাগান গড়ে উঠে। তখন স্থানীয়ভাবে চা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিলো না। কম দামে শ্রমিক নিয়োগের উদ্দেশ্যে বৃটিশ ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের আজীবন কাজের শর্তে থাকা খাওয়া চিকিৎসা সুবিধা ও ন্যায্য মজুরীর নিশ্চয়তা দিয়ে ভারতবর্ষের বিহার, মাদ্রাজ, উত্তর প্রদেশ, ওড়িষ্যা, নাগপুর, পরগনাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী মানুষগুলোকে নিয়ে আসেন এবং চা বাগানে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সে সময় আসাম প্রাদেশিক সরকার চা বাগান কেন্দী্রক একটি স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করে। এতে চা শ্রমিকদের চলাচলের উপর প্রশাসনের নজরদারি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিলো। শ্রমিকরা ইচ্ছা করলেও বাগান এলাকার বাহিরে যেতে পারতো না। তখন চা শ্রমিকদের ডাকা হতো ’কুলি’ বলে। শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাগানে চা ম্যানেজারকে প্রচণ্ড ক্ষমতা দেয়া ছিলো বিধায় অসহায় শ্রমিকদের নির্যাতন করার সুযোগ পেতেন ম্যানেজার সাহেব। কোনো শ্রমিক ইচ্ছা করলেই চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে পারতো না। চা শ্রমিক পালিয়ে গেলে ধরে এনে অমানবিক শাস্তি দেয়া হতো। চাবুক, বুটের লাত্তি ছিলো শ্রমিকদের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। কখনো নির্যাতনে শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলেও তা ছিলো স্বাভাবিক ঘটনা। কোনো বিচার ছিলো না বাগান এলাকায়। এদের জীবনযাত্রা ছিলো ক্রীতদাসসম।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর আসামের সিলেট ও মৌলভিবাজার অঞ্চল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের অংশ হয়ে গেলো। সাথে সাথে চা বাগানসমূহ শ্রমিকরা ধীরে ধীরে মালিকানা পরিবর্তন হয়ে বাঙালি মালিকানা ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হতে থাকে। কিন্তু বাগান মালিকগণ শ্রমিকদের উপর প্রথাগত দমন পীড়ন প্রায় অব্যাহত রাখেন। বৃটিশ আমল থেকে পাকিস্তান অত:পর বাংলাদেশের স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও চা শ্রমিকদের জীবনমান উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে থাকে প্রাায়ই।
পাকিস্তান আমল থেকে দেশের শ্রমিকদের জন্য শ্রম আইন, IRO-৬৯ বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও শ্রম ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন আইনটি বলবৎ ছিলো; যদিও IRO-৬৯ শ্রম আইনে চা শ্রমিকদের অধিকার বিষয়টি প্রায় উপেক্ষিত ছিলো। সরকার ২০০৬ সালে সেক্টর ভিত্তিক ২৫টি শ্রম আইন তথা বিধি বিধানকে একত্র করে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশ করে। সেক্টর ভিত্তিক শ্রমিক স্বার্থ বিবেচনায় শ্রম আইন-২০০৬ কয়েক দফা প্রয়োজনীয় সংশোধনী দিয়ে সংশোধিত শ্রম আইন-২০১৮ সংসদে পাস করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত শ্রম আইনের ধারা নং ৪৫, ৯৫, ৯৬, ৯৭ এবং শ্রমবিধি-২০১৫ এর বিধি নং-৯৬(তফসিল-৫) মোতাবেক চা শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও মালিক পক্ষের গাফলতিতে অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। চা শ্রমিকরা এখনো বৃটিশ সামন্তবাদী ধারায় স্থানীয় বাবু সাহেবদের বলয়ের বেড়াজাল খেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। জীবনযাত্রা চলছে তাদের অনেকটা দাসের মতই। তবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তারা চা শিল্পের উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।
চা বাগান শুধু সিলেট বা মৌলভিবাজার অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ নয় এখন আর। চট্টগ্রামসহ বাংলদেশের অনেক জেলায় চা বাগান গড়ে উঠেছে। সিলেট ও মৌলভিবাজার চা শিল্পের শ্রমিকদের জনগোষ্ঠীর বংশবৃদ্ধির সংগে সংগে অন্যান্য জেলার চা বাগানেও তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিরলসভাবে শ্রমিকরা চা শিল্পে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু ন্যায়্য মজুরী এবং বাসস্থান ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে প্রায়ই তারা অবহেলিত হয়ে থাকে।
সারাদেশের চা শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলার জন্য ‘বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন’ নামে একটিমাত্র রেজি: ট্রেড ইউনিয়ন আছে। এই সংগঠনই শ্রমিকদের পক্ষে দর কষাকষির জন্য সিবিএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। প্রত্যেক জেলায় এই সংগঠনের অঞ্চল ভিত্তিক পঞ্চায়েত কমিটি ও বাগান কমিটি থাকায় সাংগঠনিকভাবে শ্রমিকরা সংগঠিত বলা যায়। তবে নেতৃত্বের দুর্বলতার জন্য যথাযথভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে প্রায়ই তারা ব্যর্থ হয়ে থাকে।
বর্তমান বাংলাদেশে কর্মরত চা শ্রমিকরা জন্মগতভাবে চা বাগান এলাকার বাসিন্দা হলেও তাদের নিজের কোন জমি নাই। বাগান মালিকদের ব্যবস্থাপনায় নিম্নমানের বাসস্থানে শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে বংশপরম্পরায় বসবাস করে থাকে। তবে চা বাগান এলাকায় শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত আবাসন এবং চিকিৎসা ও শিক্ষা সুবিধা দিতে চাকুরীর শর্তানুযায়ী মালিক পক্ষ আইনত বাধ্য। যদিও শ্রমিকদের কোনো নিয়োগপত্র দেয়া হয় না। প্রভিডেন্ট ফান্ডের কাগজ পত্রই নিয়োগপত্র হিসেবে গণ্য করা হয়।
সারাদেশে লক্ষাধিক স্থায়ী শ্রমিক এবং প্রায় ৩০ হাজার অস্থায়ী শ্রমিক চা বাগানে কাজ করে। চা শিল্পে ১৬৭টি নিবন্ধিত চা বাগান ও কিছু ছোট ছোট চা বাগানসহ প্রায় ২০০টি বাগানে শ্রমিকরা দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। চা শ্রমিকরা পরিবারসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক সদস্য নিয়ে বাগান এলাকায় বসবাস করে থাকে। পরিবার সদস্যদের মধ্যে অনেকেই বেকার জীবন যাপন করতে হয় বিধায় পরিবারগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
চা বাগানে কর্মরতদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক। কেননা, বাগান এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার জাতীয় অন্যান্য কাজে বেশিরভাগ পুরুষ শ্রমিকরা নিয়োজিত থাকে। এমতাবস্থায় নারী শ্রমিকদের প্রসুতি সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রম আইনের ধারা ৪৫(খ) মোতাবেক একজন নারী শ্রমিক ডাক্তারের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে হালকা কাজ করেও নির্ধারিত পূর্ণহারে দৈনিক মজুরী প্রাপ্য হবেন। কিন্তু মালিক পক্ষ হতে যথাযথভাবে এ আইন মানা হয় না বিধায় নারী শ্রমিকরা অধিকার বঞ্চিত হয়েই থাকে।
চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের ভাষ্য মতে, ২০০৮ সালেও চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ছিলো মাত্র ৩০ টাকা। জন্মলগ্ন থেকেই ইউনিয়নের নেতৃত্ব কুক্ষিগত থাকতো বাগান মালিকদের পছন্দের কিছু অনির্বাচিত নেতৃত্বের হাতে। তারমধ্যে দীর্ঘদিন ছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ ব্যানার্জী ও তার পরিবার সদস্যরা। ২০০৮ সালে চা শিল্পে শ্রমিকদের প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠিত হলে চা শ্রমিকদের ইউনিয়নের নেতৃত্বে কিছুটা গতি পায়। নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মাখনলাল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক পদে রাম ভজন কৈরী অধিষ্ঠিত হন। বাবু রাম ভজন কৈরীর ভাষ্য মতে, নির্বাচিত হওয়ার পর তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে ২০০৯ সালে দৈনিক মজুরী ৩০ টাকা থেকে ১৮ টাকা বৃদ্ধি করে ৪৮ টাকায় উন্নীত করতে সামর্থ হন। মেয়াদ শেষান্তে তারা পুন:নির্বাচিত হয়ে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ধাপে ধাপে বৃদ্ধিসহ বোনাস বৃদ্ধি, প্রভিডেন্ট ফান্ড বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির ব্যাপারে অনেকটাই সফল হয়েছেন, তবে আশানুরূপ সফলতা তারা পাননি। ২০০৯ সালের পর শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ৩০ টাকা থেকে ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২০ টাকায় উন্নীত হয়। যা দিয়ে অনেক কষ্টেই শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত করছিলো।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী জ্বালানী সংকট প্রভৃতি কারণে বিশ্ব মন্দাবস্থায় দ্রব্যমূল্য অতিবৃদ্ধিতে মাত্র ১২০ টাকা মজুরীতে শ্রমিকরা কোনো অবস্থায়ই কুলিয়ে উঠতে পারছিলো না। এমতাবস্থায় তারা মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে মালিক পক্ষের সহানুভূতি না পেয়ে বিগত ৯ আগস্ট থেকে দৈনিক মজুরী ৩০০ টাকা এবং ন্যায় সঙ্গত অন্যান্য সুবিধা যথানিয়মে পরিশোধের দাবীতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে প্রথম দিকে ৪ ঘণ্টা কর্ম বিরতি পালন করে। মালিক পক্ষের সাড়া না পেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করতে থাকলে চা শিল্প অচল হয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ দীর্ঘ আলোচনার পর মালিক পক্ষ ২৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরী দিতে রাজি হলেও শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। এভাবে প্রায় ৩ সপ্তাহ চা উৎপাদন বন্ধ থাকায় চা শিল্প বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দৈনিক মজুরী আপাতত: ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিলে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করে। তাদের বাসস্থানের উন্নতিকল্পে সরকার ব্যবস্থা নিবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন। এতে শ্রমিকদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায়, আনন্দের বন্যা বয়ে যায় প্রতিটি বাগান এলাকায়।
২০১৮ সালে সংশোধিত শ্রম আইন-২০০৬ এবং শ্রমবিধিমালা-২০১৫ মোতাবেক নিয়োগের শর্তানুসারে চা শ্রমিকদের জন্য বাগান এলাকায় মালিক কর্তৃক মানসম্মত বাসস্থান নির্মাণ করে দেয়া, সুচিকিৎসায় হাসপাতাল/ক্লিনিক নির্মাণ করা, সন্তানদের জন্য বিদ্যালয় গড়ে তোলাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিৎ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রশাসনিক যথাযথ তদারকির অভাবে মালিক পক্ষ এসবের তোয়াক্কা না করে বছর বছর ন্যায্য অধিকার থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করে থাকে।
পরের জায়গা পরের জমিতে বসবাস করলেও চা শ্রমিকরা এখন এদেশের নাগরিক। ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করা তাদের অধিকার কিন্তু দয়া নয়। তাদেরকে আমলে নিয়েই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। এক স্থানের দারিদ্র অন্য স্থানের অগ্রগতির প্রতিবন্ধক। দেশের সকল নাগরিক ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে স্বাধীনভাবে আর্থিক উন্নতি ও মানসিক সমৃদ্ধি আর্জনে রাষ্ট্রের কাছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা লাভের অধিকারী। চা শ্রমিকদের উন্নতি ঘটাতে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে, তাদের শ্রমের বিনিময়ে সঠিক প্রাপ্তিটা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিক অধিকার শতভাগ ভোগ করার সুযোগ তাদের দিতে হবে। চা শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে রাখা সকল বঞ্চনা ও নিপীড়নের অবসান হওয়া জরুরি। তাদের দারিদ্রতা দূর হওয়া মানেই শ্রমিক সমাজের উন্নয়ন তথা চা শিল্পের উন্নয়ন। পক্ষান্তরে দেশের উন্নয়ন। সমৃদ্ধ হবে জিডিপি, এগিয়ে যাবে দেশ। তবেই হবে সোনার বাংলাদেশ।
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বন্দর থানা শাখা; টার্মিনাল অফিসার(পিআরএল), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাপ বিষধর! তবে প্রকৃতির পরম বন্ধু
পরবর্তী নিবন্ধপূর্ণিমার উচ্ছ্বাস