চার বছরে ১৩৪টি ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ৩ নভেম্বর, ২০২১ at ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হতাশার বড় কারণ ক্যাচ ড্রপ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেন ক্যাচ ফেলার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল বাংলাদেশ দল। প্রথম পর্বের তিন ম্যাচে চারটি ক্যাচ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। তবু ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে টাইগাররা। কিন্তু সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ে ঠিকই দিতে হচ্ছে ক্যাচ মিসের মাশুল। শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই জোড়া ক্যাচ ছেড়ে দেন লিটন দাস। তার হাত ফসকে জীবন পান ভানুকা রাজাপাকশে ও চারিথ আসালাঙ্কা। পরে এ দুজনই হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। একই ভাগ্যবরণ করতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে। সে ম্যাচে শেখ মেহেদি হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও লিটন দাসরা মিলে হাতছাড়া করেন চারটি সুযোগ। সেদিন জীবন পান রস্টোন চেজ, নিকোলাস পুরান, জেসন হোল্ডাররা। এ তিনজনের ব্যাটেই জয়ের পুঁজি পেয়েছিল ক্যারিবীয়রা।
শুধু চলতি বিশ্বকাপ নয়, বাংলাদেশের ক্যাচিং ব্যর্থতা চলছে গত ৩-৪ বছর ধরেই। এর মধ্যে চলতি বছর এখন পর্যন্ত খেলা ৩৩ ম্যাচে ৪৭টি ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সবমিলিয়ে ক্যাচ উঠেছিল ২২৯টি। যেখান থেকে ১৮২টি তালুবন্দী করলেও পড়ে যায় ৪৭টি। এটা কেবল চলতি বছরের হিসেব। ২০১৮ সাল থেকে প্রায় প্রতি পাঁচ ক্যাচের মধ্যে একটি ছেড়ে দেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সবমিলিয়ে গত চার বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যাচ ওঠে ৬৬০টি। যার মধ্যে হাতে জমা পড়ে ৫২৬টি । আর ছুটে যায় বাকি ১৩৪টি। এর বাইরে অনেক হাফ চান্সকে ফুল চান্সে পরিণত করতে না পারার ব্যর্থতা তো ছিলই। বছরভেদে হিসেব করলে ২০১৮ সালে ৩০ ম্যাচে ৪১ টি ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
২০১৯ সালে ৩০ ম্যাচে ৪১টি ও ২০২০ সালে নয় ম্যাচেই ১৩টি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ। আর চলতি বছর ৩৩ ম্যাচে পড়েছে ৪৭টি ক্যাচ। বছরের বাকি থাকা দুই মাসেও অনেক খেলা রয়েছে বাংলাদেশের। সেসব ম্যাচে ক্যাচগুলো আর ছুটবে না এমন প্রত্যাশাই থাকবে সবার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরব আমিরাত ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সাকিব
পরবর্তী নিবন্ধমেয়েদের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সহজ গ্রুপে বাংলাদেশ