রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচারে অভিযুক্ত চার কারখানার সদস্যপদ বাতিল করছে পোশাক খাতের রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। অভিযুক্ত বাকি ৬টি প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএর সদস্য নয় বলে জানা গেছে। গতকাল বিজিএমইএর একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। খবর বাংলানিউজের।
কারখানাগুলো হলো আশুলিয়ার প্রজ্ঞা ফ্যাশন, রাজধানীর কচুক্ষেতের অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার, টঙ্গীর হংকং ফ্যাশন ও উত্তর খানের ফ্যাশন ট্রেড। শুধু সদস্যপদ বাতিল নয়, কারখানাগুলোর রপ্তানি–সংক্রান্ত সব ধরনের সেবাও বন্ধ হচ্ছে। এ দুই সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগে কারখানাগুলোকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের সাত কর্মদিবস পর বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত প্রতিটি কারখানাকে পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়। কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে পাঠানো বিজিএমইএর নোটিশে বলা হয়, পণ্য চালানে জালিয়াতিতে আপনার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ কারণে তৈরি পোশাক শিল্পের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে লিখিত বক্তব্য দিতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে বিজিএমইএর সব ধরনের সেবা বাতিল করা হবে।
বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, অর্থ পাচারে জড়িত কারখানাগুলোর ছয়টির সঙ্গে বিজিএমইএর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বাকি চারটি বিজিএমইএর সদস্য।
প্রসঙ্গত, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তদন্তে পোশাক রপ্তানিকারক ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির আড়লে ওই অর্থ পাচার করেছে কারখানাগুলো। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিজিএমইর সদস্যের বাইরের ছয় কারখানা হলো গাজীপুরের পিক্সি নিট ওয়্যারস, এম ডি এস ফ্যাশন, থ্রি স্টার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, স্টাইলজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স।