ত্রুটিপূর্ণ মেডিকেল সামগ্রী বিক্রি এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া আবাসিক এলাকায় দাহ্য রাসায়নিক মজুদ রাখার দায়ে নগরীর চার প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিযানে আন্দরকিল্লা এলাকার তাজ সার্জিক্যালকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া আবাসিক এলাকায় দাহ্য পদার্থ ও বিভিন্ন রাসায়নিক রাখার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সাত দিনের মধ্যে এগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্যে মুচলেকা নেওয়া হয়।
অন্যদিকে মানহীন ও ত্রুটিপূর্ণ থার্মাল স্ক্যানার, পালস অক্সিমিটার, স্ফিগমনিটার, ডায়াবেটিক টেস্টার, সার্জিক্যাল মাস্ক, স্যানিটাইজার, সুরক্ষাসামগ্রী বিক্রি এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায় পাঁচলাইশ এলাকার মুন্নি প্লাজার রওশন এন্টারপ্রাইজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মেডিকেল যন্ত্রপাতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবি সার্জিক্যালকে ৫০ হাজার এবং নিজেদের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করায় একুশে সার্জিক্যালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, একই যন্ত্র একই ব্যক্তির নমুনার ক্ষেত্রে ভিন্ন সময়ে ভিন্ন রিডিং দিচ্ছিল। আমরা তা অভিযানের সময় পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছি। এতে প্রতীয়মান হয়, এগুলো নকল এবং যন্ত্রগুলো আমদানিতে সরকারের অনুমোদন নেই।