চারটি কন্টেনার স্ক্যানার স্থাপন প্রক্রিয়া ঝুলে আছে

চট্টগ্রাম বন্দরে অর্ধেকের বেশি গেটে স্ব্যানার নেই

জাহেদুল কবির | সোমবার , ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে অর্ধেকের বেশি গেটে কন্টেনার স্ক্যানার মেশিন নেই। গত জুলাই মাসে চারটি স্ক্যানার মেশিন স্থাপনের কথা থাকলেও সেই প্রক্রিয়া এখনো ঝুলে আছে। চীন থেকে এখনো একটি মেশিনও আসেনি। তবে চলতি মাসে দুটি এবং আগামী মাসে বাকি দুটি মেশিন আসবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ১২টি গেটের মধ্যে ফিক্সড কন্টেনার স্ক্যানার আছে ৫টি গেটে। বাকি ৭টি গেটে স্ক্যানার নেই। অভিযোগ রয়েছে, স্ক্যানার সংকটের কারণে অনেক কন্টেনার খালাস হয় স্ক্যানিং ছাড়াই। এতে কন্টেনারে কী পণ্য ছিল সেটি জানতে পারে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বন্দরের গেটে কন্টেনার স্ক্যানারের স্বল্পতা কিংবা কারিগরি ত্রুটির কারণে কন্টেনারের জট লেগে যায়। এতে ব্যাহত হয় পণ্য খালাস কার্যক্রম। তাই প্রতিটি গেটে স্ক্যানার মেশিন বসানোর জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান বন্দর ব্যবহারকারীরা।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে পাঁচটি ফিক্সড কন্টেনার এবং দুটি মোবাইল স্ক্যানারে চলছে বন্দরের কার্যক্রম। বন্দরের ৪ নম্বর গেট, ৫ নম্বর গেট, সিসিটি২ টার্মিনাল, ১ নম্বর গেট এবং নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৩ নম্বর গেটে ফিঙড কন্টেনার স্ক্যানার রয়েছে। এছাড়া সিসিটি ২ ও জিসিবি২ নম্বর গেটে রয়েছে মোবাইল স্ক্যানার। আমদানিরপ্তানি সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি পণ্য স্ক্যানিং করে খালাস করা হলে কোনো আমদানিকারক এক পণ্য এনে অন্য পণ্য ঘোষণা দিয়ে বিদেশে অর্থপাচার করতে পারবেন না। আবার বেশি দামের পণ্য এনে কম দামের পণ্য হিসেবে অথবা উচ্চ শুল্ককরের পণ্য আমদানি করে বিনা শুল্ক বা কম শুল্কের পণ্য হিসেবে ছাড় করাতে পারবেন না। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি অর্থ পাচারও কমবে। অস্ত্র, গোলাবরুদ কিংবা বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য এনে কেউ খালাস করতে পারবেন না। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুনশি আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামের বন্দরের নতুন চারটি কন্টেনার স্ক্যানার মেশিন বসানো হবে। এর মধ্যে এ মাসের শেষের দিকে আসবে দুটি। বাকি দুটি আসবে আগামী অক্টোবরে। মেশিন এসে পৌঁছালে স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের আওতায় অঘোষিত ও বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্জ্য নিয়ে মানুষ সচেতন হলে জলাবদ্ধতা রোধ করা সম্ভব : মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধজ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার