চারজনের দুটি প্যানেল চূড়ান্ত ঘোষণা যেকোনো সময়

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৭ জুন, ২০২১ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সফলভাবে ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন করেছে। গত ১৯ জুন লালখান বাজার মোড় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে উক্ত ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সম্মেলন সমাপ্তির পর ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও এ পদ্ধতি নিয়ে ভাবছে। এদিকে সম্মেলন সম্পন্ন হওয়ার পর এখন কমিটি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। সম্মেলনের দিন দ্বিতীয় অধিবেশনে ৪২ জন নেতাকর্মী নিজেদের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে এবং ৩৩ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফরম পূরণ করেন। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের সমঝোতার জন্য ২০ মিনিট সময় দিলে সভাপতি পদ থেকে হুমায়ুন নামে একজন সরে দাঁড়ান। বাকিরা নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। তবে তারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে জানান। এদিকে ৯ দিন হলো নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য যাদের নাম কেন্দ্রে বেশ আলোচিত হচ্ছে এ রকম কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা জানান। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য দলীয় ফরম পূরণ করা ৭৫ জন প্রার্থীর মধ্যে সম্ভাবনাময় ৮ প্রার্থীর ঘুম নেই। টেনশনে কাটছে তাদের দিন। কমিটি ঘোষণার আগ মুহূর্তেও চলছে জোর-লবিং।
চট্টগ্রামের নতুন কমিটির ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ আজাদীকে জানান, চট্টগ্রামের কমিটির জন্য আমরা অনেকের বায়োডাটা পেয়েছি। যাচাই-বাছাই শেষে সবার সাথে পরামর্শ করে চট্টগ্রামে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগী-পরীক্ষিত, কমিটিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কারা আসতে পারেন? কাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা ভাবছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল আজাদীকে বলেন, ৪ জনের চূড়ান্ত তালিকায় দুটি প্যানেলের মধ্যে যেকোনো দুই ভাগ্যবান নেতা চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন, তা প্রায় চূড়ান্ত। কেন্দ্র থেকে যাদের নাম শোনা গেছে তারা হলেন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সভাপতি ও চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুজিত দাশ সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। অপরদিকে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দেবাশীষ নাথ দেবু সভাপতি ও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন।
তবে অপর একটি সূত্র জানায়, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাশ হবেন নাকি মো. হেলাল উদ্দিন হবেন তা নির্ভর করছে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনের আগ্রহের ওপর। কেন্দ্রীয় নেতারা এ ব্যাপারে তার মতামত চেয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় একজন নেতা গতকাল আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘শিক্ষকদের বেতন না দিলে অধিভুক্তি বাতিল’
পরবর্তী নিবন্ধরপ্তানি খাত বাঁচাতে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির পরামর্শ