বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও প্রকোপে রপ্তানি আয়-ব্যয় প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে এবারও। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য দেশীয় কাঁচামাল ভিত্তিক একটি রপ্তানিমুখী শিল্প। জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়, কর্মসংস্থান এবং মূল্য সংযোজনের নিরিখে এটি একটি অপার সম্ভাবনাময় খাত। অদক্ষতা ও গাফিলতি পরিকল্পিত প্রকল্পের অভাবের কারণে এখনো সফলতার মুখ দেখতে পারেনি।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণেও চামড়া শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বব্যাপী অব্যাহত লকডাউনের কারণে চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয়ে প্রভাব পড়ে। কারণ চামড়াজাত পণ্য কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির আওতায় পড়ে না। এ শিল্পে নেতিবাচক প্রভাবের ফলে উদ্যোক্তারা ভীষণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। মহামারির কারণে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ বন্ধ থাকায় এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় পাঁচ হাজারেরও অধিক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। চরম দুর্ভোগে হাজার হাজার পরিবার। চলমান পরিস্থিতিতে আরও বিপুলসংখ্যক শ্রমিক বেকার হওয়ার পথে; নিঃসন্দেহে। দুর্ভোগের মাত্রা যেন ছাড়ছে না।
এমন বহাল পরিস্থিতে চামড়া শিল্পোদ্যোক্তাদের সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে তারা ঋণের অর্থ অন্যত্র ব্যয় বা বিনিয়োগ না করে চামড়া খাতেই ব্যবহার করলে এই শিল্প বাঁচানো সম্ভব। একটি সম্ভাবনাময় খাতকে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শুধু বাঁচিয়ে রাখাই নয়, জাগিয়ে তুলে চামড়া শিল্পের ভাবমূর্তি বিশ্ব বাজারে তুলে আনা সম্ভব।
মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী, চট্টগ্রাম