বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগমের অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২৫ জুলাই মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা এ আদেশ দেন। তবে গতকাল বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে গত ১৫ জুলাই এ দম্পতির অবৈধভাবে অর্জিত সব স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–২ এর সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মুজিবুল হক জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। তিনি ১৯৯২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে প্রবাসে থাকলেও দেশে টাকা পাঠানোর কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অপর মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মুজিবুল হকের স্ত্রী সাহেদা বেগম জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদ উপার্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এই মামলায় মুজিবুল হককেও আসামি করা হয়।