চান মিয়া সওদাগরের নাতি গ্রেপ্তার

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৫ মার্চ, ২০২২ at ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ

খাতুনগঞ্জের বনেদী ব্যবসায়ী চান মিয়া সওদাগরের নাতি শাহাদাত বিন আশরাফ সাইমুনকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের একটি টিম। এটিই শুধু নয়, তার বিরুদ্ধে খাতুনগঞ্জসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার অন্তত দেড় শতাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান বলেন, সিএমপির চান্দগাঁও থানার (০৬/৬৯) নম্বর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে ইতোমধ্যে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তিনি বলেন, চান্দগাঁও থানায় গত ৬ মার্চ ৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ১ হাজার ৫শ’ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে একটি মামলা করেন সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই এনামুল হক। আসামির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মূলত এ মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, শাহাদাত বিন আশরাফ পড়াশোনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর দেশে এসে পারিবারিক সুনামকে পুঁজি করে নিজস্ব ব্যবসা শুরুর চেষ্টা করেন। এ পুঁজি সংগ্রহের জন্য পরিচিতজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সহায়তায় খাতুনগঞ্জসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের পার্টনার হিসেবে লভ্যাংশ প্রদানের শর্তে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। ব্যবসায়িক পার্টনার বানানোর পর তাদের কাছ থেকে চুক্তির ভিত্তিতে অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর পাওনা ফেরত দেয়ার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে চাপ এলে ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যস্থতায় অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
২০১৯ সালে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা আদায়ে মামলা (সিআর মামলা নং-৪৭৫/২০১৯, চকবাজার) করেন লাভ লেনের ব্যবসায়ী ও গ্রীনকনের স্বত্বাধিকারী মো. বোরহান। গত বছর তিনি বাদী হয়ে ৮ কোটি টাকা আদায়ের জন্য সাইমুনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা (সিআর মামলা নং-৭৬৭/২০১৯, পাঁচলাইশ) করেন। এর বাইরেও ১ কোটি ১ লাখ টাকা আদায়ের জন্য আরো দুটি মামলা করেন মো. বোরহান। এ ছাড়াও সাইমুনের পিতা মো. আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে একই বাদী ২ কোটি ৩২ লাখ টাকার একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। এ পাঁচ মামলায় মোট ১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে সাইমুনের বিরুদ্ধে। সবগুলো মামলাতেই সাইমুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅরবিসের বাস্তবায়নে পৃথিবীর আলো দেখল ১৭ শিশু
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে মন্দিরের তালা ভেঙে দেবীর গয়না ও টাকা লুট