‘চাকরির জন্য’ ড. শিরীণের পা ধরলেন দুই ছাত্রলীগ নেতা

ভিডিও ভাইরাল

চবি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ, ২০২৪ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

চাকরির জন্য’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের পায়ে পড়তে দেখা গেছে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে। সাথে ছিলেন আরও এক ছাত্রলীগ নেতা। এসময় উপাচার্যের পথ আটকাতেও দেখা যায় তাদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে এমনটা দেখা গেছে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে।

ভিডিওতে দেখা যায়, কোনো একটি বাসা বা বিল্ডিংয়ের লিফট থেকে বের হচ্ছেন প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এসময় সেখানে আগেই দাঁড়িয়ে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক তিন নেতা। উপাচার্য বের হওয়ার সাথে সাথে পায়ে পড়ে যান দুইজন নেতা। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক ছাত্রলীগ নেতা। পরে উপাচার্য তাদের হাত সরিয়ে দেন এবং দ্রুত গাড়িতে উঠে যান। এসময় সাবেক উপাচার্যকে উচ্চকণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘আমি চাকরি দেওয়ার কেউ না, ওদের যেতে বলো। নইলে আমি পুলিশ ডাকবো’। উপাচার্য গাড়িতে ওঠার পর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিন নেতা উপাচার্যের পথ আটকে রাখেন। এসময় কিছুক্ষণ আঙুল উঁচিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে তিন নেতাকে কথা বলতে দেখা যায়। পরে গাড়ি চলে গেলে গাড়ির পিছন পিছন ছুটে যেতে দেখা যায় তিন নেতাকে।

তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন, মইনুল ইসলাম রাসেল, মুজিবুর রহমান ও রুমেল হোসেন। তারা তিনজনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০১১১২ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহসভাপতি। মইনুল ইসলাম রাসেল শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক একাকার গ্রুপের নেতা। এছাড়া মুজিবুর রহমান ও রুমেল হোসেন বগিভিত্তিক ভার্সিটি এক্সপ্রেস গ্রুপের নেতা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ২০ মার্চ সকালের। তখনো শিরীণ আখতার উপাচার্যের দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। ঘটনার পর ক্যাম্পাসে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিরীণ আখতার উপাচার্যের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। সূত্র জানায়, তিন ছাত্রলীগ নেতা চাকরির জন্য ভিসির পায়ে পড়েছিলেন।

এদিকে চাকরির জন্য পায়ে পড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, আমি চাকরির জন্য পায়ে পড়িনি। গত বছর ৩০ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই কমিটি বাতিল করার জন্য ভিসিকে অনুরোধ করেছি।

ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রুপের নেতা মুজিবর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটির বিষয়ে কথা বলতে আমি মইনুলের সঙ্গে ভিসি ম্যামের বাসায় গিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে চবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতারকে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযৌতুকের জন্য স্ত্রী খুনের মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধদুই দিনে সড়কে ছয় জনের মৃত্যু