বয়স নয়, মেধার বিচার হোক দক্ষতায়। বর্তমানে বাংলাদেশে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সবচেয়ে বেশি অপচয় হচ্ছে। বহিঃবিশ্বে যেখানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অবারিত, সেখানে আমাদের দেশে লক্ষকোটি ছাত্র সমাজকে ৩০ এর বেড়া জালে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তারা আজ নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ হতেও বঞ্চিত। চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর বৃদ্ধি করার দাবীটি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সুপারিশ করেছে। ৩৫ এ দাবিটির যৌক্তিকতার বিচারে জনপ্রশাসনের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ৫ বার সুপারিশ করেন। সকল রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ৩৫ দাবীটি রেখেছেন এবং এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য লক্ষ কোটি ছাত্র সমাজের কাছে অঙ্গিকার করেছেন। দাবিটি আদায়ের জন্য দেশব্যাপী দীর্ঘ দিন থেকে আন্দোলন চলছে। বর্তমানে এটি দেশের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু। গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে চাকরিতে অবসরের সীমা বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু প্রবেশের বয়স বাড়ানো হয়নি। সেশনজট এবং করোনা মহামারীর কারণে ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত। ৩৫ দাবিটি বাস্তবায়িত হলে লক্ষ লক্ষ ছাত্ররা উপকৃত হবে। তাই সরকারের প্রতি লক্ষ কোটি বেকারদের এই দাবি পূরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।