পথেঘাটে-মার্কেটে বিনোদন কেন্দ্রে এমন কি আবাসিক এলাকায়ও ইদানীং “চাঁদাবাজ প্রকৃতির উচ্ছৃঙ্খল হিজড়া” বেশি দেখা যাচ্ছে। এরা দল বেঁধে সাধারণ পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে অর্থ আদায় করছে, ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের চলাচলের জায়গায় এদের দলবেঁধে নীরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। বিভিন্ন ভঙ্গিতে পথচারীর সম্মুখে দাঁড়িয়ে এরা টাকার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। তরুণ-তরুণী বা নারী-পুরুষকে একত্রে পেলেই তাঁদেরকে স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা মনে করে তাদের চাহিত অর্থ না পেলে বিশ্রী মন্তব্য করে এবং ক্ষেত্র বিশেষে কয়েক জন মিলে ঘেরাও করে জোরপূর্বক তা আদায়ে সচেষ্ট হয়। তাদের আশা পূর্ণ না হলে অশ্রাব্য ভাষায় অপমান করার পাশাপাশি কখনো-কখনো নারী বা পুরুষের স্পর্শকাতর অঙ্গের দিকে হাত বাড়িয়ে বা নিজের কাপড় খোলে বা নিজের স্পর্শকাতর অঙ্গ অন্যের গায়ে লাগিয়ে দিয়ে নাজেহাল করার ঘটনাও অহরহ ঘটছে। এর ফলে এদের দ্বারা প্রায় সময় পথচারীগণ অপমানের সম্মুখীন হচ্ছেন।
তবে একথাও অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, আমাদের দেশে হিজড়াদের পরিপূর্ণরূপে পুনর্বাসন এবং উপযুক্ত শাসনের ব্যবস্থা না থাকায় বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়েই এরা নামেন চাঁদাবাজি ও যৌনকর্মের মতো ঘৃণিত পেশায়। এদেরকে আমাদের সরকার তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া সত্ত্বেও তাদের প্রতি আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের সমাজে এরা অবহেলিত। তাদের কাগজে কলমে কিছু অধিকার থাকলেও বাস্তবে শিক্ষা, চাকুরি, স্বাস্থ্য তথা মৌলিক অধিকার হতে তারা বঞ্চিত। বিশেষজ্ঞগণের মতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদেরকে ভিন্ন পেশায় উৎসাহিত করা হলে দেশ ও জাতি অনেকাংশে উপকৃত হবে।