চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের দাসেরগাঁও গ্রাম। ওই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে জমজমিয়া খাল। তার ওপর কাঠ বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকোটি এখন এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীর কাছে। স্বাধীনতার পর থেকে একটি সেতু নির্মাণের বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি মিললেও এর বাস্তবায়ন আলোর মুখ দেখেনি ৫০ বছরেও। তাই দুর্ভোগ সঙ্গী করে ভাঙা কাঠ বাঁশের সাঁকোতেই দিন পার করছেন এই গ্রামসহ আশপাশের মানুষ। শিক্ষার্থীদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এ সাঁকো। সাঁকোটি দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে পারাপার করা গেলেও বর্ষাকালে ভরা খালে এটি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিকল্প উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠ বাঁশের এই ভাঙা সাঁকো দিয়েই পারাপারে বাধ্য হন শিশু থেকে বৃদ্ধরা। এই সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে মৃত্যু হওয়ারও ঘটনা ঘটেছে অনেক। আহত হয়েছেন অসংখ্য শিশু বৃদ্ধরা। খুইয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও আশপাশের লোকজনও এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসছে প্রতিনিয়ত। জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে এখানে কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। ঘটছে ছোট–বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু তারপরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সেতু নির্মাণে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডা. দীপু মনি এ বাড়ির বাসিন্দাদের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশ্বাস এখনো পূরণ হয়নি এ গ্রামের মানুষের। বেপারী বাড়ির অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর। তাদের তোলা চাঁদা দিয়ে প্রতি বছর নড়বড়ে এই সাঁকোটি মেরামত করে যাচ্ছেন।
তাই এ এলাকার এমপি মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করে দিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামণা করছি।
মো. মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর।












