আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য নতুন করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্যানেল তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। স্থগিত হওয়া এই নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫ টি ভোট কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের বিপরীতে প্রায় ১৬ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা) প্রস্তুত করছে ইসি। স্থগিত হওয়ার আগে ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল গত ৯ মাসে কর্মস্থল থেকে অনেকেই বদলি এবং অবসরে গেছেন। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে এই ৯ মাসে। একারণে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা নতুন করে করতে হচ্ছে। এতে নতুন করে চট্টগ্রামের প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি,আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান,ব্যাংক,বীমা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা নেয়া হচ্ছে। এসব তালিকা থেকেই নতুন করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান আজাদীকে জানান, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করছি। গত ২৯ মার্চ স্থগিত হওয়ার আগে আমরা যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি করেছিলাম নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সেই তালিকার অনেকেই অন্যত্র বদলি হয়েছেন,অনেকেই অবসরে গেছেন। তাই আবার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তালিকা নিচ্ছি। এসব তালিকা যাচাই-বাছাই করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি করা হবে। ভোট কেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা সব আগের মতোই আছে। তালিকাটা ঠিক করছি।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই চসিক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা যায়। এজন্য তালিকাটা হালনাগাদ করছি।
জেলা নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে, এবার চসিক নির্বাচনে ১৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৭৮ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ জন ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা জানান, চসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৭৭৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা। এছাড়াও অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ হিসেবে মোট ১৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হবে। স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনের চার কাউন্সিলর করোনাকালে মারা গেছেন। এসব ওয়ার্ডে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এদের মধ্যে একজন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তিনজন সাধারণ ৫ম পৃষ্ঠার ৩য় কলাম
কাউন্সিলর প্রার্থী মৃত্যুবরণ করেছেন। এরা হলেন- ১৭, ১৮ ও ১৯নং ওয়ার্ডের সাহিদা বেগম পারভীন, ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৭নং উত্তর-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেন মুরাদ ও ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।