যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়। আজ কান্না আসছে। চোখের পানি বাঁধ মানছেনা তো। যদি কেউ নির্দোষকে খুন করে তবে সে সমগ্র মানবজাতির হত্যাকারীর সামিল। আর যে একজনের জীবনও রক্ষা করে সে সমগ্র মানব জাতিকে রক্ষা করার সোয়াব পেলো।(পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে)। আল্লাহ্ এর নবী সাঃ কাউকে মারা, কারো বাড়ি ভাঙা, লুটপাট করা, ধ্বংস করাকে সমর্থন দেন নাই। তিনি হাজার বার অত্যাচারিত হওয়ার পরও হত্যা মারামারি খুন খারাবিতে লিপ্ত হননি। আমরা বারবার কেনো কথাগুলো স্মরণ রাখতে পারিনা। অন্যধর্মের একজন বৃদ্ধার বিছানো পথের কাঁটা সরিয়ে নবীজি ( সাঃ) চলাচল করতেন। নবীজি(সাঃ) এর দরবারে অনেক জ্ঞানী গুনী মানুষ আসতেন। তিনি তাদের সম্মান করতেন।একজন সৃষ্টি শীল লোক আসতেন যিনি আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করতেন না। নবীজি (সাঃ) তাকে ও সমাদর করতেন।সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন হুজুর ( সাঃ) লোকটি আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করেনা। আপনি তাকে সম্মান করেন কেনো? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উত্তরে বললেন-লোকটি খোদাকে বিশ্বাস না করলেও খোদা তাকে ভালোবাসেন। খোদা ভালো না বাসলে তিনি সৃষ্টিশীল হতে পারতেন না । ঘৃণা নয় ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে জয় করার শিক্ষা নবীজি (সাঃ) এর জীবন থেকেই পাওয়া যায়। ধ্বংস যজ্ঞ করে কিছু প্রাপ্তি ঘটে না। আসুন ভেদাভেদ ভুলে নির্মাণ করুন শান্তির স্বদেশ। যে শিল্পীর ঘরবাড়ি বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করা হলো, বাড়িটা পুনরায় মেরামত ও তাঁর শিল্পের জিনিস পুনরায় সংগ্রহ করে দেওয়া হোক। শিল্পী ও শিল্পের সরঞ্জাম নিয়ে বীমার ব্যবস্থা করে দেবার সুপারিশ করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে। তিনি সে দাবী পূরণ করায় কৃতজ্ঞতা অপার।