চমেক ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো এক মামলা

উভয় গ্রুপের ৩ মামলা, ১৬ জন করে আসামি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ নভেম্বর, ২০২১ at ১:৩০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল বুধবার আরো একটি মামলা হয়েছে। চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে চকবাজার থানায় মামলাটি করেছেন ছাত্রলীগ কর্মী ও চমেক শিক্ষার্থী ইমন সিকদার। ইমন সিকদার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
চকবাজার থানার ওসি মো. ফেরদৌস জাহান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই ঘটনায় গত সোমবার আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী ও চমেক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর (শুক্রবার) রাত ১১টার দিকে চমেক প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেখানে মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলাম নামে নাছির অনুসারী ছাত্রলীগের দুজন কর্মী আহত হয়। আহত দুইজন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতের এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে চমেক প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় মাহাদি জে আকিব নামে এক শিক্ষার্থীর উপর হামলা করে নাছির অনুসারীরা। এমবিবিএস ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হামলায় গুরুতর আহত মাহাদি বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। মাহাদির উপর হামলার ঘটনায় শনিবার রাতেই নওফেল অনুসারী তৌফিকুর রহমান বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়। আসামীরা সবাই আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। এ নিয়ে দু’দফা মারামারির ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলার বাদি উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী। অপর একটি মামলার বাদি আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী। তিনটি মামলাতেই নাম উল্লেখ করা আসামির সংখ্যা ১৬ জন!

পূর্ববর্তী নিবন্ধকারিগরি শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্র্ণ অবদান রাখছে ইউসেপ : স্পিকার
পরবর্তী নিবন্ধবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্রুত স্থাপন হবে মেডিকেল ওয়াস্ট ইন্সিনেরটর