চমেক কেন্দ্রের অধীনে অংশ নিল ১২ হাজার ৮০৯ জন

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১১ মার্চ, ২০২৩ at ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

গতকাল শুক্রবার (১০ মার্চ) দেশব্যাপী একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২২২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এক ঘণ্টা সময়কালের এ পরীক্ষা শুরু হয় সকাল দশটায়। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) কেন্দ্রের অধীনে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ১২৭ জন। এর মাঝে ১২ হাজার ৮০৯ জন পরীক্ষার্থী গতকালের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাকি ৩১৮ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। হিসেবে মোট পরীক্ষার্থীর ৯৭.৫৩ শতাংশের উপস্থিতি ছিল এবারের ভর্তি পরীক্ষায়। এসব তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার আজাদীকে বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কোনও ধরনের সমস্যা হয়নি। ৫টি ভেন্যুর ১৩০টি হলে এবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চমেক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চমেক কেন্দ্রের অধীনে এবার চমেক ক্যাম্পাস, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ, বাওয়া (বাংলাদেশ মহিলা সমিতি) স্কুল এন্ড কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ ভেন্যুতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা তদারকিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের পরিদর্শন টিম গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও ৭ সদস্যের আরো একটি টিম গঠন করে। এসব পরিদর্শন টিমের সদস্যরা পরীক্ষা ভেন্যুগুলোতে তদারকিতে ছিলেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পর্যবেক্ষক হিসেবে আট শতাধিক শিক্ষক হলে দায়িত্ব পালন করেন। সবমিলিয়ে ১১ শতাধিক শিক্ষক এ ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন বলেও জানান চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার। তদারকির দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। খুব সুন্দর ভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। উপস্থিতির হারও ভালো। ৯৭.৫ শতাংশ।

ভর্তি পরীক্ষার সময় ভেন্যুর বাইরে অভিভাবকদের জটলা ছিল চোখে পড়ার মতো। ভিতরে ছেলে/মেয়ে পরীক্ষায় বসেছে। আর বাইরে অভিভাবকদের অধীর অপেক্ষা। রোদ অগ্রাহ্য করেও অনেককে রাস্তায় সময় কাটাতে দেখা গেছে। প্রায় সবকটি ভেন্যুর সামনেই এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। আর পরীক্ষা শেষে গণপরিবহন সংকট দেখা যায়। অনেককেই বাধ্য হয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হাঁটতে দেখা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার ভোট দেখতে চায় ২১০ প্রতিষ্ঠান
পরবর্তী নিবন্ধ৮ বছরেও হয়নি চালু