এবার ভোট দেখতে চায় ২১০ প্রতিষ্ঠান

| শনিবার , ১১ মার্চ, ২০২৩ at ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ

ভোট পর্যবেক্ষণে এবার ২১০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশনে; যেগুলো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন পেতে চায়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যাচাইবাছাইয়ে যোগ্য বিবেচিত হলে স্থানীয় এসব প্রতিষ্ঠান আগামী পাঁচ বছরের জন্য সংসদ ও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবে। কমিশনের আইন শাখার যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন যাচাইবাছাই কমিটি গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বৈঠকও করেছে বলে জানিয়েছেন ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক। খবর বিডিনিউজের।

এদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে একটি সমন্বিত সাংবাদিক নীতিমালা খসড়া প্রস্তুতির কাজও করছে ইসি। পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের আবেদন দেখভাল করছে ইসির জনসংযোগ শাখা।

গতকাল শুক্রবার এ বিভাগের কর্মকর্তা আশাদুল হক জানান, এবার ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে। আগামী ১৫২০ দিনের মধ্যে এসব আবেদন যাচাইবাছাই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর তা কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। প্রাথমিক বাছাইয়ে যাদের আবেদন টিকবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের দাবিআপত্তি আছে কিনা জানতে ১৫ দিনের মধ্যে সময় দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। যদি কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাহলে মাননীয় কমিশন উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানি দেবেন। শুনানির পর কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, বিদ্যমান নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১১ জুলাই। সেক্ষেত্রে ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী জুনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করবে। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে ১১৯টি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নিবন্ধন দিয়েছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদা কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন চেয়ে আবেদনের নির্ধারিত যোগ্যতার পাশাপাশি গত পাঁচ বছর (২০১৮ থেকে ২০২২ ডিসেম্বর) ধরে যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েও কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেনি সেগুলোর আবেদন বাতিল হবে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে নিবন্ধিত হতে পারেনি; কিন্তু মেয়াদ থাকাকালীন সংসদ ও স্থানীয় সরকারের সাধারণ বা উপ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে থাকলে সেটির আবেদন যোগ্য বিবেচিত হবে।

সমন্বিত সাংবাদিক নীতিমালা চায় ইসি : ভোটের দিন সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ও অনুমোদন সূচক স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালার আওতায় এতদিন তা করা হলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ডজন নির্দেশনা সম্বলিত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা দেওয়া হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে একটি সমন্বিত সাংবাদিক নীতিমালা খসড়া প্রস্তুতির কাজ চলছে। প্রস্তাবিত নীতিমালা নিয়ে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতারণার যত অভিনব ফাঁদ
পরবর্তী নিবন্ধচমেক কেন্দ্রের অধীনে অংশ নিল ১২ হাজার ৮০৯ জন