চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি–২০২৪ এর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ বামপন্থী শিক্ষকরাই একে–অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। নির্বাচনে ১১ পদের বিপরীতে লড়বেন ২২ জন প্রার্থী। এর আগে গত ২১ এপ্রিল নির্বাচন পদপ্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতি নির্বাচন কমিশন। এর আগে ২১ মার্চ মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই শেষে প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। এবার আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের হলুদ দল থেকে ১১ পদে পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করলেও বিএনপি–জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম অংশগ্রহণ করছে না নির্বাচনে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় নিয়োগ ও নির্বাচনের কোনো পরিবেশ না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি বলে জানান সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. শামীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে নিয়োগ বাণিজ্য ও দলীয়করণ করা হচ্ছে তাতে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।
কাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ভোট চলবে। একই দিনে ভোট গণনা শেষে ঘোষণা করা হবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী ১১ পদের বিপরীতে ২২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, সভাপতি পদে ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের প্রফেসর ড. মো. দানেশ মিয়া ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান। সহসভাপতি পদে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. নাজনীন নাহার ইসলাম ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক পদে আইন বিভাগের প্রফেসর এবিএম আবু নোমান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক। যুগ্ম সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস লাবলু ও ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম। কোষাধ্যক্ষ পদে আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল।
এ ছাড়া ৬ সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন ১২ প্রার্থী। তারা হলেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ড. অনিমেষ বিশ্বাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. এ এস এম বোরহান উদ্দীন, দর্শন বিভাগের এফ এম, এনায়েত হোসেন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের এসএম সাদাত আল সাজীব, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ড. একেএম রেজাউর রহমান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের পারভীন সুলতানা, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মঞ্জুরুল আলম, আরবি বিভাগের ড. মুহাম্মাদ নুর হোসাইন, আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফিশারিজ বিভাগের প্রফেসর মো. রাশেদ–উন–নদী ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের সুফিয়া বেগম।
নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির নিয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক জানান, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাও ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও সফল একটি নির্বাচন হবে বলে আশাবাদী।
