চবি মেডিকেল সেন্টার নিয়ে ৯ অভিযোগ

প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের তালা, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে দেড় ঘণ্টা পর খুলে দেয়া হলো

চবি প্রতিনিধি | রবিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসাসেবা নিম্নমানের-এমন অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মেডিকেল সেন্টারের প্রধান ফটকে তালা ও কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। এ সময় মেডিকেল সেন্টারে অবস্থানরত সকল চিকিৎসক ও কর্মচারীকে বের করে দিয়ে প্রধান ফটক আটকে রেখে বাইরে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাস ও উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিকেল ৪টার দিকে মূল ফটক খুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মো. মামুন নামে এক শিক্ষার্থী চবি মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে চবি মেডিকেল ভুল চিকিৎসা দিয়েছে বলে অভিযোগ করে মেডিকেল সেন্টার ঘেরাও করে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক বিজয় গ্রুপ।
এ ব্যাপারে বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস আজাদীকে বলেন, এর আগেও চবি মেডিকেলে অনেকে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন। কয়েক দিন আগে মামুন নামে এক শিক্ষার্থী চবি মেডিকেলে চিকিৎসা নেয়। পরে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে চমেকে নেওয়া হলে ডাক্তাররা ছেলেটির নিউমোনিয়া হয়েছে বলে জানান। যদি চবি মেডিকেল এ ব্যাপারে অবগত করত তাহলে আগে থেকেই ভালো চিকিৎসা করতে পারত বা ব্যবস্থা নিতে পারত। অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেবেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
নয় দফা অভিযোগপত্রে বলা হয়, চবি মেডিকেলের চিকিৎসার সার্বিক মান অস্বাভাবিকভাবে নিচে নামছে। সম্প্রতি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনকে ভুল ওষুধ প্রয়োগ করায় সে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেকে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। এর আগে শ্রুতি চৌধুরী নামে সংস্কৃতি বিভাগের একজন ছাত্রী জ্বর নিয়ে এলে জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটারটি নষ্ট থাকায় তাকে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, চবি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার মান খারাপ।
ডাক্তাররা সময়মতো আসেন না এবং সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নেই। নাপা ও প্রাজল হচ্ছে সকল রোগের ওষুধ। বেসিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও টেস্ট ইকুইপমেন্ট নেই। থাকলেও তা কাজ করে না। প্যাথলজি বিভাগের কোনো কাজ নেই। ডাক্তাররা রিপোর্ট দেখে রোগ বলতে পারেন না। ৬টি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও মাত্র চলে দুটি। আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়লেও কোনো মনোচিকিৎসক নেই। ব্লাড টেস্ট, ইসিজি, এঙরে পরীক্ষা করার কোনো সরঞ্জাম নেই। ডাক্তার-কর্মচারীরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন না। অভিযোগগুলো সমাধান করতে প্রশাসনকে দ্রুত এগিয়ে আসার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চবি মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়বের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি সমাধান করতে আলোচনা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৬ জেলায় নতুন রোগী নেই
পরবর্তী নিবন্ধচবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি