চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয় ও স্থানীয়দের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ ছাত্রলীগ কর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন লন্ডনী বিল্ডিংয়ের সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সাথে বাইকের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে উভয় পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিজয় গ্রুপের দুজন কর্মী বাইকে করে যাচ্ছিলেন। এমন সময় দুই নম্বর গেট এলাকায় একটি অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক যুবকের সাথে বাইক আরোহী ছাত্রলীগ কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় ওই যুবক শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এর মধ্যে উভয় পক্ষে আরো লোকজন জড়ো হয়ে দুই পক্ষে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও কিছু সময় পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হল থেকে বের হয়ে দুই নম্বর গেটের দিকে যায়।
এ সময় গ্রামবাসীরা তাদের বসতবাড়ির আড়াল থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং দা নিয়ে বের হয়। এতে ছাত্রলীগের ৫জন কর্মী আহত হয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় অবরোধ করে স্থানীয়রা। তবে আধ ঘণ্টা পরে অবরোধ উঠিয়ে নেয় তারা।
চবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন সুমন আজাদীকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেওয়া খুব ন্যাক্কারজনক ঘটনা। প্রশাসনের সাথে কথা বলে এটার সমাধান করবো। আপাতত আমাদের ছেলেদের ঝামেলা না করতে বলেছি। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয়দের সাথে ছাত্রদের কিছু ঝামেলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত।
