চবির হলুদ দলে বিভাজন, দুই প্যানেলে প্রার্থী ঘোষণা

চবি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আওয়ামী ও বাম সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের বর্তমান স্ট্যান্ডিং কমিটিকে অবৈধ ও স্বেচ্ছাচারী বলে ঘোষণা দিয়েছেন হলুদ দল সমর্থনকারী ত্রিশ অধ্যাপকসহ শিক্ষকদের একাংশ। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা। এসময় তারা নিজেদের মূল হলুদ বলেও দাবি করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে দিয়েছেন পূর্ণ প্যানেল। এতে হলুদ দলের মধ্যে বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের সভাপতি পদপ্রার্থী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সজীব কুমার ঘোষ, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, প্রফেসর ড. খাইরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিন, প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, প্রফেসর ড. আনোয়ার সাঈদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে দীর্ঘদিন ধরে হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন না দেয়া, প্রভাষক, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে প্রতিনিধি না থাকা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায় প্রশাসন ও বিজ্ঞান অনুষদের প্রতিনিধি না থাকাসহ আটটি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।

এতে ছয় পৃষ্টার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান পরিচালনা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এ কমিটির কতিপয় সদস্য দলের গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করে দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা কমিটির দায়িত্বকে ধরে রেখে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করে আসছে। তারা ব্যক্তি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য দলীয় পরিচয়কে ব্যবহার করছে। ফলে হলুদ দলের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, স্ট্যান্ডিং কমিটির কতিপয় সদস্য দলীয় গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল থেকে দলকে জবরদখল করে কাজ করছে। স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৫ জন হওয়ার কথা থাকলেও অবসর ও ছুটির কারণে বর্তমানে পাঁচজন সদস্য নেই। এছাড়া সম্প্রতি আরও দুইজন শিক্ষক স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। এমনকি কমিটিতে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে কোনো প্রতিনিধি নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন ও বিজ্ঞান অনুষদের কোনো প্রতিনিধি নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, দেশের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজ সংস্কারে দিকনির্দেশনা সম্পর্কে উপেক্ষা করে যাচ্ছে।

এর আগে তারা হলুদ দলের ডাকা সাধারণ সভা বয়কট করে চিঠি দেন গণমাধ্যমে। পাশাপাশি নিজেরা পাল্টা বৈঠক করে শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে প্রার্থী ঘোষণা করেন। নিজেদের হলুদ দলের সাধারণ শিক্ষক দাবি করলেও তাদের প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের পক্ষে বলে পরিচিত। অপরদিকে প্রশাসনের বিরোধী শিক্ষকরা হলুদ দল মনোনীত পূর্ণ প্যানেল দিয়েছে আসন্ন শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে। তারাও নিজেদের মূল হলুদ দল দাবি করে আসছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপাসগোলা শুলকবহরে ২১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধচসিকের প্রস্তাবের ১০ মাস পর মন্ত্রণালয়ের সাড়া