চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার থেকে। পরীক্ষা চলবে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৪ হাজার ৯২৬ টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ টি। আসন প্রতি লড়বে ২৯ জন শিক্ষার্থী।
এ ইউনিটের পরীক্ষা দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি শিফটে ২৭ হাজার ৫৩ জন পরীক্ষার্থী করে দুই শিফটে পরীক্ষার্থী ৫৪ হাজার ১০৬ জন অংশগ্রহণ করবে। এরপর বি ইউনিট ও ডি ইউনিটের পরীক্ষা দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ ও ২২ আগস্ট। বি ইউনিটের পরীক্ষার্থী ৩৭ হাজার ৭৮৯ এবং ডি ইউনিটের পরীক্ষার্থী ৩৯ হাজার ৩৯২ জন। এছাড়া সি ইউনিট, বি-১ ও ডি-১ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা যথাক্রমে ১৯ ও ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সি ইউনিটের পরীক্ষার্থী ১১ হাজার ৬০জন ও বি-১, ডি-১ ইউনিটের পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৩৯০ জন।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাহিনীর আট শতাধিক সদস্য থাকবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু করতে পাঁচ স্তরে নিরাপত্তা বাহিনী জোরদার করা হয়েছে। বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটসের সদস্যরাও থাকবেন শৃঙ্খলা রক্ষায়। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেন চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার্থীদের মহিলা অভিভাবকদের জন্য ৪টি ছাত্রী হল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের শহর থেকে যাতায়াতের জন্য ৯ জোড়া শাটল ট্রেন সার্ভিস চালু করাসহ পুরো ক্যাম্পাসে লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পরীক্ষা পদ্ধতি : ভর্তি পরীক্ষা বরাবরের মতোই ১২০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) ও বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ থেকে যুক্ত হবে। বহু নির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটের বিপরীতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন রয়েছে। সে হিসেবে এ ইউনিটে আসন আছে ১ হাজার ২১৪ট, বি ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, সি ইউনিটে ৪৪২টি ও ডি ইউনিটে ১ হাজার ১৫৭টি। এছাড়া দুইটি উপ ইউনিটের মধ্যে বি১ ইউনিটে আসন রয়েছে ১২৫টি ও ডি১ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।
চলবে নয় জোড়া শাটল : ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট ১১ জোড়া শাটলের আবেদন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নয় জোড়া শাটল অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর। নগরীর বটতলী থেকে সকাল ৬টা, সাড়ে ৬টা, সোয়া ৮ টা, পৌনে ৯টা, ১১টা ৪০ মিনিট, দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, বিকেল ৪টা এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৭টা ০৫ মিনিট, ৭টা ৩৫ মিনিট, ৯টা ২০ মিনিট, ১০টা, দুপুর ১টা, দুপুর দেড়টা, বিকেল ৩টা, ৫টা, সাড়ে ৫টা এবং রাত ৯টা ১০ মিনিটে সর্বশেষ ট্রেন শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনগুলো ঝাউতলা স্টেশন, ষোলশহর, ক্যান্টনমেন্ট, চৌধুরীহাট এবং ফতেয়াবাদ স্টেশনে থামবে।