আরও চার বন্ধুসহ চকরিয়ার উপকূলীয় বদরখালীর মোহাম্মদ ফাহিম (২০) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে। পরীক্ষা শেষে বাড়ির কাছাকাছি এসে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ফাহিমের। অন্যদিকে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার অপর চার বন্ধু। নিহত ফাহিম ইউনিয়নের কুতুবদিয়া পাড়ার আবদুস শুক্কুরের পুত্র। জানা যায়, দুর্ঘটনায় আহত ফাহিমের চার বন্ধু সবার বাড়িও একই পাড়ায়। তারা হলেন মোহাম্মদ রানা, আবরার সাদাত আদন, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী এবং মোহাম্মদ ছাদেক। আহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রানা জানান, সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তারা। পরীক্ষা শেষে কিছু সময় চট্টগ্রাম শহরে কাটিয়ে রাতে বাসে করে তারা চকরিয়া পৌরশহরে এসে বদরখালীর উদ্দেশে সিএনজি টেঙিতে চেপে রওনা দেন। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের বহনকারী সিএনজিটি চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী সড়কের চকরিয়ার পশ্চিম বড় ভেওলার পোকখালী এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ডাম্পার গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আহত হন পাঁচ শিক্ষার্থী। এ সময় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে। তদ্মধ্যে গুরুতর আহত মোহাম্মদ ফাহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মারা যায় ফাহিম।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ফাহিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এ সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চকরিয়ার মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মিজানুর রহমান জানান, নিহত ফাহিমসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহনকারী সিএনজি টেঙিকে ধাক্কা দেওয়া ডাম্পার ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
