দেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যাললোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়তনে সর্ববৃহৎ। অন্য বিশ্ববিদ্যালগুলোতে টিএসসি( ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র ) থাকলেও, প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছর পরেও স্বনামধন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি টিএসসি। বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত চিন্তার বিকাশকেন্দ্র। শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনই একমাত্র শিক্ষা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে জ্ঞানার্জনের অন্যতম একটি বড় প্লাটফর্ম হিসাবে টিএসসি সুপরিচিত। শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান, মনন ও সাংস্কৃতিক ভাব আদান প্রদানে টিএসসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু টিএসসির অভাবে চবিতে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মুক্তচিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারে না। ক্লাসের শেষে শিক্ষার্থীরা অলস সময় পার করে।
ক্লাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের বসার তেমন কোনো সুযোগ থাকে না। ফলশ্রুতিতে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মাঝে একপ্রকার দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। টিএসসি না থাকায় সাংস্কৃতিক, সাংগঠনিক বা যেকোনো প্রকার অনুষ্ঠান করার জন্য সংগঠনগুলোকে বুদ্ধিজীবী চত্বর, উন্মুক্ত মঞ্চ বা বোটানিক্যাল পুকুর পাড়ের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। যার ফলে দিন দিন ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম হ্রাস পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ক্লাস শেষ হওয়ার পর পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টি নির্জীব ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। এখন প্রতিটি চবিয়ানের প্রাণের দাবি চবিতে টিএসসি নির্মিত হোক, ক্লাসের শেষে ছাত্র–শিক্ষক নির্বিশেষে সকলকে জ্ঞানের মেলাতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম আরো বেগবান হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. নাইমুর রহমান শাওন
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়