চবিতে চক্রাকার বাস চালু

স্থায়ী সার্ভিস চায় শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি | রবিবার , ২৮ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জিরো পয়েন্ট থেকে এক নাম্বার গেইট রুটে সাময়িক শাটল বাস সার্ভিস চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি এ সার্ভিস যেন স্থায়ী করা হয় এবং বাসের সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া নিয়ে হলেও এই সার্ভিসটি স্থায়ী করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মূলত সিএনজি চালকদের ধর্মঘটের কারণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুটি বাস সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। ওইদিন থেকেই তা চালু হয়। এই রুটে সিএনজি অথবা অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ বাস দুইটি চলবে বলে জানায় প্রশাসন। সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত এ সার্ভিস চালু রয়েছে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে। ফরহাদ হোসাইন রাসেল নামে একজন লিখেছেন, জিরো পয়েন্ট টু ১নং চক্রাকার বাস সার্ভিস চলছে। যা বুঝলাম শিক্ষার্থীরা ভীষণ রকমের খুশি! কয়েকজন আপু তো সারা রাস্তা মিটি মিটি করে হাসছিলেন আনন্দে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। সিএনজি সিন্ডিকেটের কালো হাত গুড়িয়ে দিতে এই বাস সার্ভিস স্থায়ী করা হোক, এটাই সকলের দাবি। আব্দুল্লাহ আল হাছান নামে একজন লিখেছেন, বাৎসরিক একটা ভাড়া নিয়ে ১নং থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বাসের ব্যবস্থাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে। প্রশাসনের নিকট একটাই দাবি, স্থানীয় সিএনজি ড্রাইভারদের হাতে যাতে আমাদের আর কোন ভাইয়ের মার খেতে না হয়।
এদিকে রাত নয়টার পর বাসগুলো না চলাতে কিছুটা অসুবিধায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, রাতের শাটল ট্রেনটি নয়টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। তাই আমরা যারা এক নাম্বার গেইটের দিকে থাকি তারা ট্রেন থেকে নেমে বাস পাই না। কিংবা ট্রেনে উঠার জন্য এক নাম্বার গেইট থেকে আসতে গিয়ে বাস পাই না। তাই বাসের সময়টা যদি রাতের ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সমন্বয় করা হয় তাহলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া আজাদীকে বলেন, সিএনজি চালকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডায় সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা ভেবে দুইটি বাস দেওয়া হয়েছে। সিএনজি চালকরা বিভিন্ন দাবিদাওয়া পেশ করেছেন, সেগুলো বিবেচনায় এনে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে শীঘ্রই সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাতামুহুরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে যুবক নিখোঁজ
পরবর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপ নৌপথ কবে নিরাপদ হবে