চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

১১৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৭ মে, ২০২৪ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

পদ্মা ব্যাংকের ১১৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায় নগরীর লালদীঘির ব্যবসায়ী ও আসন্ন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের করতে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি জেসিকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও কক্সবাজারের হোটেল রামাদা’র মালিকও। গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে দায়িক জসিম উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আদেশের কপি পুলিশ সুপার ও ডিআইজি বরাবর প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াও ইতিমধ্যে দেওয়ানী আটকাদেশ, এমনকি সম্পদ জব্দের আদেশও হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজাউল করিম।

আদালত সূত্র জানায়, শুনানিতে ডিক্রিদার পক্ষের আইনজীবী নিবেদন করেন, দায়িক জসিম উদ্দিন আহমদ একজন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি। আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ডিক্রিকৃত টাকা পরিশোধ করছেন না। সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়া হলেও তিনি খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করে বিলাস বহুল জীবনযাপন করছেন। ঋণের টাকা যে উদ্দেশ্যে বিতরণ করা হয়েছিল সে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে ভিন্ন খাতে ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে তিনি খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় দু’হাতে টাকা বিলাচ্ছেন। তার কাছে ব্যাংকের বর্তমান পাওনা ১১৮ কোটি টাকার বেশি। তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে দেওয়ানী আটকাদেশসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হলেও থানার ওসি পরোয়ানা তামিল করছেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জকে অনুরোধ করলেও তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।

আদালত সূত্র আরো জানায়, ডিক্রিদারের নিবেদনের পর আদালত বলেন, ৮৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ২১০ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য ডিক্রিদার পদ্মা ব্যাংক এই অর্থঋণ জারি মামলা দায়ের করে। ডিক্রিদারের আবেদনক্রমে গত ৩০ এপ্রিল জসিম উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। ডিক্রিদার হলফনামাযুক্ত দরখাস্তে উল্লেখ করেন, একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে দেখা মাত্র গ্রেপ্তার করা অফিসার ইনচার্জের আইনগত দায়িত্ব। কিন্তু আসামি প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ তাঁর আইনগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। আদালত সূত্র জানায়, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে মহল মার্কেটের মালিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে অর্থঋণ মামলা করে পদ্মা ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা। মামলায় গত বছরের ২৯ জানুয়ারি ডিক্রি প্রদান করেন আদালত এবং সেখান থেকেই এ জারি মামলার উদ্ভব হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারেককে দেশে এনে সাজা কার্যকর করব : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বৃষ্টি, ডুবল পতেঙ্গা জেলেপাড়া