টানেল হয়েছে কর্ণফুলীর তলদেশে। রেল লাইন সম্প্রসারিত হচ্ছে কক্সবাজার পর্যন্ত। শেষের পথে লালখান বাজার থেকে বিমান্দবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো সমৃদ্ধ করবে বে–টার্মিনাল। দেশের অর্থনীতির অন্যতম ‘লাইফলাইন’ হিসেবে গড়ে উঠছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর। বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে, যা শেষ হলে ‘আইটি বিজনেস হাব’ হিসেবে গড়ে উঠবে চট্টগ্রাম। এর বাইরে আনোয়ারা ও মিরসরাই শিল্পাঞ্চলসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার, যেগুলো বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক গুরুত্ব বেড়ে যাবে। তবে এর প্রাণকেন্দ্র হবে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। অর্থাৎ চট্টগ্রাম শহর। যে শহরের অন্যতম রক্ষক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
চট্টগ্রাম পৌরসভা (১৮৬৩–১৯৮২) থেকে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (১৯৮২–১৯৮৯) হয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (১৯৮৯ থেকে অদ্যাবধি) বয়স ১৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২২ জুন। দীর্ঘ এ পথচলায় ১০ দশমিক ০৯ বর্গ মাইল থেকে আয়তন বেড়ে ১৬০ দশমিক ৯৯ বর্গকিলোমিটার হয়েছে শহরের আয়তন। ১৫ হাজার ৪৭৮ জন জনসংখ্যার (১৮৬৯ সালের আদম শুমারির তথ্য অনুযায়ী) শহরে এখন বাসিন্দা ৩২ লক্ষ ৩০ হাজার ৫১৭ জন (জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী)। যদিও চসিকের দাবি, ৭০ লক্ষ লোক বাস করে শহরে। ইউএন ডিপার্টমেন্ট ইকোনমিক এন্ড সোসাল এফেয়ার্স (ইউএনডেসা) নগর জনগোষ্ঠি গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম শহরের জনসংখ্যা আরো বাড়বে। কাজেই বিপুল জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করে শহরকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা নিতে হবে শহরের রক্ষক সিটি কর্পোরেশনকে। বিশেষ করে ভবিষ্যতে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে তা চিহ্নিত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়নে হাত দিতে হবে।
এক্ষেত্রে ইউএনডেসা এর সতর্কবর্তা আমলে নেয়া যায়। সংস্থাটি মনে করে, ‘দ্রুত নগরায়নের কারণে শহর বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবে। বিশেষ করে আবাসন সমস্যা, পানীয় জল ও স্যানিটেশন, ট্রাফিক জ্যাম, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়ু ও শব্দ দূষণ এবং সার্বিকভাবে বসবাসের পরিবেশ বিনষ্ট প্রভৃতি। এ সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বর্ধিষ্ণু নগরায়নের ফলে সমস্যাগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।’ অবশ্য সবগুলো বিষয় সরাসরি চসিকের এখতেয়ারে নেই। কিন্তু প্রধান সেবাসংস্থা হিসেবে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো সমাধানে এখন থেকেই উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে কয়েকদিন আগেই মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নিজেই বলেছেন, ‘সরকারের নেয়া নানা প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমাণ বাণিজ্যিক গুরুত্বকে কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। কর্ণফুলী টানেল, নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী সিটি কর্পোরেশনের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কারণে চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমাদের সামনে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যা আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে ঘিরে বাংলাদেশের ভাগ্যবদলের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা বাস্তবায়নে সবগুলো সরকারি সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
চসিকের এখতেয়ার কতটুকু :
সড়ক ভেঙে গেছে। ফুটপাত দখল হয়েছে। জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ হচ্ছে। নালায় পড়ে কারো মৃত্যু হয়েছে। কোথাও ময়লা–আবর্জনা জমে আছে, হতে পারে সেটা কারো বাসার কিংবা দোকানের সামনে। এরকম আরো অসংখ্য সমস্যার কথা চিন্তা করলে চোখ বন্ধ করেই সমস্যাগুলোর জন্য প্রথমে দায়ী করা হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক)। যদিও প্রতিটি সমস্যার জন্য সবসময় সংস্থাটি দায়ী থাকে না। এরপরও দায়ী করা হয় কেন? এর উত্তর সাম্প্রতিক সময়ের বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে সিটি মেয়রের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। সর্বশেষ ২৮ আগস্ট মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী চসিকের সাধারণ সভায় বলেছেন, ‘নগরবাসী মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায় দেন, কারণ নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় মানুষ আমাদের চিনে’। এর আগেও প্রায় একই কথা বলেছেন তিনি। অর্থাৎ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত সিটি কর্পোরেশনের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা সবসময় বেশি থাকে। যদিও সাধারণ মানুষ তাদের প্রত্যাশা পূরণে আইন অনুযায়ী চসিকের এখতেয়ার কতটুকু সেটা নিয়ে কখনো ভাবে না। অবশ্য নির্বাচনের পূর্বে এখতেয়ারের বাইরেও বহু প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। অর্থাৎ প্রত্যাশার চাপ নিজেরাই সৃষ্টি করে থাকেন।
সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হয় স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী। ৮টি তফসীলের ওই আইনে ১২৬টি ধারা আছে। আইনটি বিশ্লেষণ করে দেখতে পাই নির্বাচিত মেয়রগণ কাউন্সিলরদের সহায়তায় নগরবাসীর জন্য ২৮ ধরনের কাজ করার ক্ষমতা রাখেন। এর মধে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে– স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, আবর্জনা অপসারণ, সেনিটেশন, জন্ম, মৃত্যু এবং বিবাহ রেজিস্ট্রি এবং ক্ষেত্রমতে পরিসংখ্যান বা তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করা, সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এবং আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ, পরিবার পরিকল্পনা উন্নয়নের ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, নগরবাসীর চিকিৎসার সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ, সাধারণ ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন নর্দমার ব্যবস্থা এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখে নর্দমা নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ ও পরিষ্কার, কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা সরকারি জলাধারে ভাড়ায় চলাচলকারী নৌকা বা অন্যান্য যানবাহনের জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা, লাইসেন্সের শর্ত নির্ধারণ এবং ফি নির্ধারণ, কসাইখানার ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণ, রাস্তা এবং অন্যান্য যোগাযোগের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ, যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করা। সর্বসাধারণের সুবিধা ও চিত্ত–বিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ উদ্যান নির্মাণ ও তার রক্ষণাবেক্ষণ, সর্বসাধারণের সুবিধার্থে খোলা জায়গার ব্যবস্থা করবে এবং তা তৃণাচ্ছাদিত করার ঘেরা দেওয়া এবং মানোন্নয়ন করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, জাতীয় ভাষার ব্যবহারে উৎসাহদান, জনসাধারণের মধ্যে শরীর চর্চা, ব্যায়াম ও খেলাধুলার উৎসাহদান এবং র্যালি ও টুর্নামন্টে পরিচালনা, নগরীর ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থানসমূহ সংরক্ষণ করা।
এদিকে ‘সিটি কর্পোরেশন পরিচালন ব্যবস্থা (গভর্ন্যান্স) উন্নয়ন কৌশলপত্র ২০২০–২০৩০’ শিরোনামে দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর জন্য ১০ বছর মেয়াদী একটি কৌশলপত্র আছে সরকারের। সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে নাগরিকদের উন্নত সেবা প্রদান করা এ কৌশলপত্র প্রণয়নের অন্যতম উদ্দেশ্য। ওই কৌশলপত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রূপকল্প (ভিশন) ধরা হয়, ‘পরিচ্ছন্ন ও সবুজ চট্টগ্রাম নগরী’। একইসঙ্গে মিশন (অভিলক্ষ্য) এর প্রধান উপাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ‘পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থ–সামাজিক কার্যক্রম এর মাধ্যমে নাগরিকদের সেবা নিশ্চিতকরণ এবং নগরকে একটি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরীতে পরিণত করে নগরবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন’।
সাধারণ মানুষ মনে করে, সিটি কর্পোরেশন আইন এবং সিটি কর্পোরেশন পরিচালন ব্যবস্থা (গর্ভন্যান্স) উন্নয়ন কৌশলপত্র অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে নাগরিকদের চাওয়া ও সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা সম্ভব। এর মধ্য দিয়ে আগামীর চট্টগ্রাম অর্থাৎ উন্নয়নে সমৃদ্ধ চট্টগ্রামের উন্নয়ন ভাগীদার হতে পারবে চসিক।
চসিকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঃ
চসিক বিটে কাজ করায় প্রায় কথা বলতে হয় মেয়রের সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর ঘিরে কর্পোরেশনের নানা পরিকল্পনার কথা। এছাড়া চসিকের বিভিন্ন নথিপত্র ও বাজেট বইয়ে উল্লেখ রয়েছে পরিকল্পনার কথা।
শহরকে স্মার্ট সিটি গড়তে নগরে পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়ন, নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুট ওভারব্রিজ ও মেকানিক্যাল পার্কিং স্থাপন, চসিকের ওয়ার্ড অফিসসমূহ সংস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বিভিন্ন আয়বর্ধক প্রকল্প, নগরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, নগরে স্বাধীনতা স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহের সংরক্ষণ প্রকল্প এবং আগ্রাবাদ ডেবা ও পাহাড়তলী জোড় দীঘির সংস্কার প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা আছে চসিকের।
এছাড়া বিওটি (বিল্ড অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার) এর আওতায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন, যানজট নিরসনে মেট্রোরেল নির্মাণ, ঠাণ্ডাছড়ি পার্ক উন্নয়ন, আউটার রিং রোডের পাশে সী সাইটে ওশান পার্ক ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে সংস্থাটি। এছাড়া আধুনিক নগর ভবন নির্মাণ, স্মার্ট সিটি প্রকল্প, চসিকের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশমতে প্রস্তাবিত নতুন সড়ক নির্মাণ, মুরাদপুর, ঝাউতলা, অক্সিজেন ও আকবর শাহ রেলক্রসিংয়ের ওপর ওভারপাস নির্মাণ, ঢাকামুখী, কক্সবাজারমুখী ও হাটহাজারীমুখী বাস টার্মিনাল নির্মাণ, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফুট ওভার ব্রিজ ও ওভারপাস/আন্ডারপাস নির্মাণ, চসিকের নিজস্ব জায়গায় স্পোর্টস কমপ্লেঙ নির্মাণ, কাঁচা বাজারের আধুনিকায়ন, চান্দগাঁওয়ে আধুনিক স্লটার হাউস–নির্মাণ, বাকলিয়া স্টেডিয়ামে স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ, ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ, শিশুপার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, মিলনায়তন, ব্যায়ামাগার ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, নগরের বিভিন্ন স্থানে আধুনিক কনভেনশন হল নির্মাণ, জোনভিত্তিক মুক্তমঞ্চ ও থিয়েটার ইনস্টিটিউট নির্মাণ, বিবিরহাট গরুর বাজার শহর হতে দূরে ফতেয়াবাদ স্থানান্তর করা, নগরের প্রধান সড়কসমূহের ফুটপাত, মিডিয়ান, রাউন্ড আধুনিকীকরণ এবং লেন পার্কিং ও জেব্রা ক্রসিংসহ উন্নয়ন, নগরের কাঁচা সড়কসমূহ পাকাকরণ এবং হকার পুনর্বাসনের চিন্তা আছে সংস্থাটির। এছাড়া ভূ–গর্ভস্থ বর্জ্যাগার নির্মাণ, ২১টি খালের উন্নয়নে প্রকল্প নিচ্ছে চসিক। এছাড়া ভবিষ্যতের ‘আইটি বিজনেস হাব’ হওযার পথে যে চট্টগ্রাম সেখানেও অংশীদার চসিক। কালুরঘাটে হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে দেয়া চসিকের ৭১ একর জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনিকিউবেশন সেন্টার।
লেখক : সিনিয়র রিপোর্টার, দৈনিক আজাদী