চট্টগ্রাম আয়তনে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিভাগ এবং দেশের প্রধান বাণিজ্যিক নগরী। মূল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার আয়তন ৩৪০৬৬ বর্গকিলোমিটার এবং অদ্যাবধি প্রায় ১০ মিলিয়ন জনসংখ্যার বসবাস। জেলাটির অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। যাইহোক, আজকের চট্টগ্রামের নগর জীবন অদ্য নাগরিকদের নিকট দুর্বিষহ ঠেকছে। তাদের অভিযোগ আজকের চট্টগ্রাম আর আগের মত নেই। বিশেষত বর্ষা এলেই চট্টগ্রাম শহরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। রাস্তাঘাট হাঁটু পর্যন্ত তলিয়ে যায়। নগরীর প্রধান এলাকাসমূহ যেমন বাকলিয়া, চকবাজার, কোতোয়ালি, চাঁদগাও, আগ্রাবাদ এবং মুরাদপুুর ফ্লাইওভার রোডসহ সারা শহরজুড়েই ব্যাপক বন্যা দেখা যায়। ফলে ব্যবসা–বাণিজ্যসহ আমদানি –রপ্তানি ব্যাহত হয়। রোগী আনা নেওয়া কষ্টকর হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগরের সচেতন নাগরিকগণ জলাবদ্ধতার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেন। প্রথমত, নগরের ছোট–বড় খালগুলো ভরাট হওয়া। দ্বিতীয়, ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না কর।
তৃতীয়, যেখানে সেখানে আবর্জনা স্তূপ করে রাখা উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্ববহ নগরী। দেশের প্রধান রপ্তানিকারক জেলা হিসেবে নাগরিক পর্যায়সহ সর্বস্তরের জনগণকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা উচিত। যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে ডাস্টবিন ব্যবহার করা, খালগুলো অবৈধ দখলদার থেকে উদ্ধার করে পানি নিষ্কাশন সহজতর করার মাধ্যমেই উন্নত চট্টগ্রাম গড়া সম্ভব বলে মনে করি।
রাসেল আহমেদ
শিক্ষার্থী,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।