চট্টগ্রাম বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ

রেমাল মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৭ মে, ২০২৪ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি, বহির্নোঙর এবং ইয়ার্ডে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে বন্দর থেকে মোট ১৯টি জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বহির্নোঙরে অবস্থানকারী মাদারভ্যাসেলগুলো থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে সবগুলো জাহাজকে আরো গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। লাইটারেজ জাহাজগুলোকেও উজানে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব টাগ বোটসহ নৌযানগুলোকেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি খালি করে রাখা হয়েছে। বন্দরে সর্বোচ্চ ৪ নম্বর এলার্ট ঘোষণা করে সব কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের কী গ্যান্ট্রি ক্রেন, পন্টুনসহ বিভিন্ন ইকুইপমেন্টের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ছোটখাটো ইকুইপমেন্টগুলোকে এক স্থানে জড়ো করে নিরাপদে রাখা হচ্ছে। পণ্যবাহী কন্টেনারগুলোর ব্যাপারে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন না থাকলেও খালি কন্টেনারগুলো যাতে বাতাসের তোড়ে ওড়ে গিয়ে নষ্ট না হয় বা ক্ষতি না করে তার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দর থেকে সব ধরণের আমদানি এবং রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ গত শনিবার রাত থেকে সিরিজ বৈঠক করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে। গতকালও বৈঠক হয়েছে। ঝড়ে আঘাত হানলে কিভাবে মোকাবেলা বা কি ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তারও অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু রেখেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে লোকবল বাড়িয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার এক ধরণের প্রস্তুতি এবং আঘাত হানলে করণীয় ঠিক করতে অন্য ধরণের প্রস্তুতি। আমাদের সব প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করে রেখেছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর মারাত্মক রকমের উত্তাল রয়েছে। আমরা যে সব জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছি বা বহির্নোঙরে আগে থেকে যেসব জাহাজ অবস্থান করছিল সবগুলোকে আরো গভীর সাগরে গিয়ে নিরাপদ দূরুত্বে অবস্থান করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে ঢেউয়ের তোড়ে বা ড্রেগিং করে কোন জাহাজ অপর জাহাজের সাথে সংঘর্ষ না ঘটে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে গভীর সাগরে অবস্থানকারী জাহাজগুলোকে সার্বক্ষনিকভাবে বন্দর কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅভিযোগ জানাতে এসে শিক্ষকদের সাথে অভিভাবক-স্থানীয়দের মারামারি, আহত ১০
পরবর্তী নিবন্ধতারেককে দেশে এনে সাজা কার্যকর করব : প্রধানমন্ত্রী