চট্টগ্রাম ফুটবলের নিরুত্তাপ দল বদল শেষ দিনে অংশ নিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২৪ আগস্ট, ২০২২ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ফুটবলের সে জৌলুস এখন আর নেই। তারপরও কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ইভেন্টের মধ্যে সবার আগে থাকবে ফুটবলের নাম। কিন্তু দেশের ফুটবলের সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে যেন জৌলুস হারাতে বসেছে চট্টগ্রামের ফুটবল। তাইতো ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৩ দিন ব্যাপি ফুটবলারদের দলবদল কখন যে শেষ হয়ে গেছে কেউ টেরই পায়নি। এবারের দলবদলে প্রিমিয়ারে ৪৪ জন এবং প্রথম বিভাগে ৪৯ জন ফুটবলার দলবদলে অংশ নিয়েছে। তবে প্রিমিয়ারে দল বদল কার্যক্রমে অংশ নেয়নি বিসিআইসি ক্রীড়া সংসদ। ঐতিহ্যবাহি এই অফিস দলটি এক সময় লিগে না খেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত কোনরকমে জোড়াতালির দল নিয়ে মাঠে নামবে দলটি। গত আসরের আগের আসরে শিরোপা জেতা কাস্টমস স্পোর্টস ক্লাবও এবারে মাত্র একজন ফুটবলারকে দল বদল করিয়েছে। শেষ দিনে দল বদল কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। জানা গেছে আটটি দল দল বদল এবং লিগ শুরুর দিন পেছানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু জেলা ফুটবল এসোশিয়েশন তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। তারা নির্ধারিত সময়েই লিগ শুরু করবে। ফলে অনেকটা আর্থিক টানপোড়েনের মধ্য দিয়ে ফুটবল খেলতে হচ্ছে দলগুলোকে তেমনটি জানিয়েছেন একাধিক ক্লাবের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে অনেকটা জোর করেই তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে। আবার কোন কোন দল তৃতীয় বিভাগে অবনমনের ভয়ে কোনমতে খেলতে যাচ্ছে লিগে। মাঠে নামলে অন্তত প্রথম বিভাগে নামতে হবে। তার নিচেতো আর নামতে হবেনা।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় দু একটি ইভেন্ট বাদ দিলে বেশিরভাগ ইভেন্টই কেবল কাউন্সিলর বাড়ানোর ইভেন্ট হিসেবে পরিচিত । কোনমতে মাঠে নামতে পারলেই ইভেন্টটি খেলা হয়েছে বলে বিবেচিত হয়। কোন ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার দরকার নাই। ঠিক যেন অংশ গ্রহণই বড় কথা। ফুটবলটিও যেন ক্রমশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হয়ে পড়ছে। এখন দেখার বিষয় দল বদলের এই ভাটার টান কতটা প্রভাব ফেলে মাঠের লড়াইয়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউন্মুক্ত মহিলা দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধবাংলা টাইগার্সের হেড কোচ আফতাব