কেইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শাহজাহান বলেছেন, সর্বস্তরের সহযোগিতা থাকলে কেইপিজেডে নতুন নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে আধুনিক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে আরো বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ সম্ভব। এটি পরিবেশবান্ধব বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল। অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির পাশাপাশি এখানে সবধরনের নাগরিক সুবিধা সম্বলিত একটি নতুন উপশহর গড়ে তোলা হবে। কেইপিজেডের কারিগরি সহায়তা এবং টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে স্থানীয় শিল্প সমৃদ্ধশালী হবে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি কেইপিজেডের ব্যাম্বো হাউস এলাকায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা ও পারিবারিক সম্মিলনে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা।
স্বাগত বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কেইপিজেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মুশফিকুর রহমান ও কর্ণফুলি উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, সিইউজের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজের সহ–সভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সহ সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ ও মো. আইয়ুব আলী।
কেইপিজেডের ডিজিএম মুশফিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে এখানে ১৫টি বিনিয়োগকারী কোম্পানির অধীনে ৪২টি শিল্প ইউনিট স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটি শিল্প ইউনিট উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করছে। যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে নির্মানাধীন আরো ৮টি শিল্প ইউনিট সমাপ্তির পথে। এর আগে, একুশের প্রথম প্রহরে শহীদমিনারে এবং সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
