চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার জন্য নেদারল্যান্ডস থেকে আনা ছয়টির ক্যাঙ্গারুর একটি মারা গেছে। দুই বছর বয়সী দশ লাখ টাকারও বেশি দামে আমদানিকৃত ক্যাঙ্গারুটির মৃত্যুতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কোন আর্থিক ক্ষতি হবে না। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় থাকা অবস্থায় গত ২ নভেম্বর ক্যাঙ্গারুটি মারা যায়।
সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে সমৃদ্ধ করতে নিজস্ব তহবিল থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সিংহ, ক্যাঙ্গারু, লামা, ওয়াইল্ড বিস্ট, ম্যাকাও পাখি কেনার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় গত ২১ অক্টোবর নেদারল্যান্ডস থেকে ছয়টি করে ক্যাঙ্গারু ও লামা আনা হয় চিড়িয়াখানার জন্য।
কিন্তু ওই ৬টি ক্যাঙ্গারুর একটি মারা গেছে। ওই ক্যাঙ্গারুটি আনার পথে পায়ে ব্যথা পেয়েছিল। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান বলেন, চিড়িয়াখানায় আনা ক্যাঙ্গারুগুলোর একটি আনার পথে পায়ে আঘাত পেয়েছিল। পরে সেটি মারা যায়। চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, নেদারল্যান্ডস থেকে প্রায় দুই বছর বয়সী ৬টি ক্যাঙ্গারু আনা হয়েছিল। এরমধ্যে ৪টি মেয়ে ও ২টি পুরুষ ক্যাঙ্গারু।
এরমধ্যে একটি মেয়ে ক্যাঙ্গারু মারা গেছে। বর্তমানে তিনটি মেয়ে ও দুইটি পুরুষ ক্যাঙ্গারু রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে প্রাণীগুলো আনা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ক্যাঙ্গারুগুলো ১৫ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিল।
ওই সময় পর্যন্ত প্রাণীগুলোর দায়-দায়িত্ব আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের। কোয়ারেন্টাইন সময়ের মধ্যে ক্যাঙ্গারুটা মারা যাওয়ায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিল থেকে এই টাকা কেটে রাখা হবে। তবে একটি প্রাণী মারা যাওয়ায় খারাপ লাগছে বলেও জানান চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শুভ।