বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আনোয়ারার জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিতে ওঠার সাথে সাথেই মাঠ জুড়ে করতালির রোল পড়ে যায়। কোনো ধরনের বিশেষণ ও সম্বোধন ছাড়াই ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্য শুরু করেন– ‘খেলা হবে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। অস্ত্র পাচারকারী, সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সামনে ডিসেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলতে হবে।’ এসময় মাঠ জুড়ে লাখো নেতাকর্মীর উচ্ছ্বাস ও মুহূর্মুহূ করতালি এবং হাসির রোল পড়ে যায়। গতকাল শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখার আগ মুহূর্তে বক্তব্য দিতে উঠে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাদের দুটি নেয়ামত দান করেছেন। একজন বঙ্গবন্ধু, অন্যজন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ যতদিন থাকবে, এ দুজন মানুষ বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। কারণ দেশের জন্য তারা নিজেদের জীবনের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে গেছেন, যাচ্ছেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু এ ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না।
বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু, পায়রা সেতুসহ একদিনে ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। আপনারা এ সেতু ব্যবহার করেন। পদ্মা সেতু করার সময় কতই না ষড়যন্ত্র ও হাসাহাসি করেছিল তারা। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এটা জোড়াতালির সেতু, এই সেতুতে কেউ উঠবেন না, এটা ভেঙে পড়ে যাবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, এই সেতু ভেঙে পড়ে যাবে। কিন্তু এখন তারা এসব সেতু দিয়েই বাড়ি–ঘরে যায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা পদ্মা সেতু পার হয়ে জনসভা করে মিছিল করে মিটিং করে। কিন্তু তাদের লজ্জা হয় না।
আজকের উন্নয়নের মহাযাত্রায় বিএনপি–জামায়াতের এ আন্দোলন কর্ণফুলীতে ভেসে যাবে। মাতারবাড়িতে কি বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে সেগুলো তাদের চোখে পড়ে না। তারা আছে শুধু মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধনে। তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চাচ্ছে। আর এর নেতৃত্বে আছে চট্টগ্রামের খসরু (আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী)। আছে ফখরুলরাও। যারা শয়তানদের নেতা। এত জ্বালা, টানেল দেখে জ্বালা। ভারতে হয়নি, নেপালে হয়নি, শ্রীলঙ্কায় হয়নি। হয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম? কে করেছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহত্তর চট্টগ্রামের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
এর আগে বক্তব্য দেন সংসদ উপনেতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।