চট্টগ্রাম আবাহনী এবার হারালো সিটি কর্পো’কে

মাঠের সমস্যায় মাঝপথে খেলা বন্ধ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১২ মার্চ, ২০২৪ at ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ নিজস্ব ভেন্যু এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফিরে এসেছে। তবে ৪র্থ রাউন্ডের প্রথম খেলাতেই মাঠ সমস্যা দেখা দেয়। গত ৭ মার্চ এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল জয় বাংলা কনসার্ট। তা আয়োজন করতে গিয়ে মাঠে গর্তের সৃষ্টি হয়। অনেক পাথরও ছিল মাঠ জুড়ে। ফলে গতকাল এ মাঠে চট্টগ্রাম আবাহনী এবং সিটি কর্পোরেশনের খেলা নামিয়ে আয়োজকদের বিপত্তির মুখে পড়তে হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হয়। দশ ওভার খেলাও চলে। টসে জিতে আবাহনীকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে সিটি র্কপোরেশন ফিল্ডিং করতে নামে। কিন্তু মাঠে গর্ত এবং পাথর থাকার কারণে সিটি র্কপোরেশনের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আহত হন। পরে এমন মাঠে সিটি র্কপোরেশন খেলতে অস্বীকৃতি জানালে ম্যাচ রেফারী এবং আম্পায়াররা খেলা বন্ধ রাখেন। এরপর গ্রাউন্ডসম্যানদের দিয়ে মাঠ পরিষ্কার এবং গর্ত ভরাটের ব্যবস্থা করা হয়। এ জন্য ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। তারপর খেলা শুরু হয়। ম্যাচের আয়তনও ৪৫ ওভারে নির্ধারণ করা হয়।

গতকালের খেলায় চট্টগ্রাম আবাহনী ডিএলএস মেথডে ১১৩ রানে সিটি কর্পোরেশন একাদশকে পরাজিত করে। এ জয়ে টানা চার খেলার চারটিতেই জয়লাভ করে শীর্ষস্থানে আছে শিরোপা প্রত্যাশী চট্টগ্রাম আবাহনী। অন্যদিকে অফিস দল সিটি কর্পোরেশন হেরেই চলেছে। নিজেদের চার খেলার চারটিতে হার মানতে হয়েছে তাদের। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করা আবাহনী ৪৫ ওভার খেলে ৭ উইকেটে ৩০৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় সিটি কর্পোরেশনের বিপক্ষে। দলের চার ব্যাটার অর্ধশতকের দেখা পান। জীবনের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৭০ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস। ৩১ বলে ৬টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন জীবন। এছাড়া ওপেনার সাইদুল ইসলাম সানজু ৬৪,জাহিদ জাভেদ ৫৯ এবং সাইদুল ইসলাম ইমরান ৫২ রান করেন। অণ্যদের মধ্যে মোহাম্মদ শোয়েব ১৭ এবং তাসামুল হক ১৩ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৯ রান।

সিটি কর্পোরেশন একাদশের রায়িদ আহমেদ রুদ্র ৩টি উইকেট পান। বিশাল লক্ষ্য সামনে রেখে খেলতে নেমে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে একাই লড়ে যান কেবল ওপেনার রায়িদ আহমেদ রুদ্র। তার ব্যাট থেকে আসে ১১১ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। ৮টি চার এবং ১টি ছক্কায় সংগ্রহ করা এ ইনিংস দলের জয় এনে দিতে পারেনি। অন্যরা কেউই তাকে যোগ্য সহায়তা দিতে পারেননি। শুধুমাত্র অপর ওপেনার জাহিদুল ইসলাম ২৭ এবং আশরাফুল হোসেন বাবু ১৫ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকা রুদ্রের পতনের পর তার দলও আর এগোতে পারেনি। ৪৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯২ রানে থামতে হয় সিটি কর্পোরেশনকে। চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষে মোহাম্মদ শোয়েব ৩৪ রানে ৩টি উইকেট পান। ২টি করে উইকেট নেন তাজুল ইসলাম এবং আবুল হাসনাত।

আজকের খেলা : ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব বনাম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিভাগীয় দল ফাইনালে
পরবর্তী নিবন্ধসাগরিকায় ঘাম ঝরালো মোস্তাফিজরা