চট্টগ্রামে একদিন পর ফের সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১০৯ টি নমুনা পরীক্ষায় ৭১৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৩৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। এর আগে গত ৭ জুলাই ৬১১ ও ৬ জুন সর্বোচ্চ ৬৬২ জন আক্রান্ত হয়। নতুন শনাক্ত ৭১৩ জনের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা রয়েছে ৪৭৭ জন এবং উপজেলার ২৩৬ জন। এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬২ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৪৮ হাজার ৭৭২ জন এবং উপজেলার ১৪ হাজার ১৪১ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম জেলায় করোনায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ২ জন ও ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। জেলায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪৪ জনে। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৪৮৬ জন ও উপজেলার ২৫৮ জন।
সিভিল সার্জন অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১০৯ টিসহ চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৮ হাজার ৪১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন ও উপজেলার ৫৩ হাজার ৭৩৩ জন।
সিভিল সার্জন অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম জেলায় সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫৭ জন। এ নিয়ে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৪৯২ জনে উন্নীত হয়েছে। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৬ হাজার ৮১০ ও বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১৯৮ এবং ছাড়পত্র নেন ১৫৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৩৯ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম সাত দিনে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। অথচ গেল জুন মাসের প্রথম সাত দিনে মৃতের সংখ্যা ছিল এর এক-চতুর্থাংশেরও কম।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে এবার সবার উপরে হাটহাজারী। গত দুইদিন উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ছিল সীতাকুণ্ডে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাটহাজারীতে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বোচ্চ ৫৮ জন, সীতাকুণ্ডে ৩৩ জন, রাউজানে ২৭ জন, ফটিকছড়িতে ২০ জন, মীরসরাইয়ে ১৭ জন, সন্দ্বীপে ১৫ জন, বোয়ালখালীতে ১৪ জন, চন্দনাইশে ১৩ জন, সাতকানিয়ায় ১২ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৯ জন, লোহাগাড়ায় ৭ জন, আনোয়ারায় ৬ জন, বাঁশখালীতে ৫ জন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গতকাল বৃহস্পতিবার আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।